সন্দেশখালি পৌঁছালো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। এদিন তারা প্রথমে পৌঁছায় ধামাখালি। আদালতের অনুমতি নিয়ে সন্দেশখালি গিয়েছে এই দল। এর আগে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গুলোর এই দল সন্দেশখালি গেলে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

সন্দেশখালিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেই অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে সেখানে যাচ্ছে এই ছয় সদস্যের দল।

রবিবার সন্দেশখালির ১১টি জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করলো প্রশাসন। গোটা সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় আইন শৃঙ্খলার অজুহাত দেখিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করে রাখছে রাজ্য প্রশাসন। 

বৃহষ্পতিবার সকালে মিনাখা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন শেখ শাহজাহান। ৫৬ দিনের মাথায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি তদন্তে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যায় ইডি। সেখানে শাজাহান অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা সংবাদ মাধ্যমও আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পায়নি। তারপর থেকেই ফেরার ছিলেন সন্দেশখালি তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য শেখ শাহজাহান। 
শাহজাহানের বিরুদ্ধে গত কয়েক দিনে ভুরিভুড়ি অভিযোগ সামনে এনেছেন গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ জমি দখল করে লোনা জল ঢুকিয়ে ভেরি বানিয়েছে শেখ শাহজাহান এবং তার ভাই সিরাজ। শাহজাহানের দুই সঙ্গী উত্তম এবং শিবু বেশ কয়েকদিন আগেই গ্রেফতার হয়েছে।
পার্টি অফিসে রাতের অন্ধকারে মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে তাদের শ্রীলতাহানি করার অভিযোগও দায়ের হয়েছে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। প্রথমদিকে তৃণমূল কংগ্রেস গোটা বিষয়টি কে আড়াল করার চেষ্টা করলেও জনরোষের চাপে নেতৃত্ব বলতে বাধ্য হয় যে শাহজাহানকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ প্রশাসন পদক্ষেপ নিচ্ছে। 
উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছেন যে শাহজাহানকে টার্গেট করা হচ্ছে। এক প্রকার তিনি শাহজাহানকে আড়াল করেছিলেন।