অনির্বাণ দে
‘ইন্ডিয়া’ শুনলে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। ভয় পাচ্ছে সৌভ্রাতৃত্ব, স্বাধীনতার বার্তাকে। এই নির্বাচনেই বিজেপি’কে নির্বাসনে দিতে হবে। বিজেপি’কে সাহায্য করতে পারে এরকম শক্তিকেও নির্বাসনে পাঠাতে হবে। লোকসভায় বিজেপি এবং তৃণমূল দুই পার্টিকেই জনতার থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেসকে এই কাজ করতে হবে বাংলায়।
মঙ্গলবার ভগবানগোলায় শহীদ কমরেড আল্লারাখার স্মরণ সভায় এই আহ্বান জানিয়েছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, তৃণমূলের কাজই হচ্ছে বিজেপিকে সাহায্য করা। রাজ্যের বাইরে তৃণমূল নেই। তৃণমূলের সঙ্গে বোঝাপড়ার প্রশ্নই নেই বামপন্থীদের। বোঝাপড়ার কোনও সুযোগ নেই। কেউ কোনও কথায় প্রভাবিত হবেন না। তৃণমূলের গায়ে দুর্নীতি, পাচারের গন্ধ। মোদীজিকে ধরে টিকে আছে তৃণমূল, না হলে একের পর দুর্নীতিতে ধরা পড়ে যেত। তৃণমূল, বিজেপি দুইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
দিল্লিতে জি-২০ গোষ্ঠীর বৈঠকে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পত্রে প্রথা ভেঙে ‘ইন্ডিয়া’-র বদলে ‘ভারত’ উল্লেখ করা হয়। বিজেপি’র ভিত্তি সংগঠন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত সরাসরি বলেছেন যে ‘ইন্ডিয়া’ বাদ দিয়ে কেবল ‘ভারত’ শব্দ ব্যবহার হওয়া উচিত। দেশময় বিতর্ক দানা বেঁধেছে কারণ বিরোধী ২৮টি দল যে রাজনৈতিক মঞ্চের যে নামকরণ করছে, ইংরেজি আদ্যক্ষরে তা-ও ‘ইন্ডিয়া’। কোনও কোনও অংশের অনুমান আচমকা ডাকা অধিবেশনে সংসদে সাংবিধানিক সংশোধনের দিকে যেতে পারে কেন্দ্র যাতে সংবিধান থেকে ‘ইন্ডিয়া’ সরানো যায়।
মঙ্গলবার এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারও বলেছেন যে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দে এত আপত্তির কারণ থাকতে পারে না। দেশের নাম বদলানোর অধিকার কারও নেই। বিজেপি যে আসলে বিকল্প বিন্যাসে ভয় পাচ্ছে, দেশময় সেই আলোচনাও রয়েছে। ভগবানগোলার হরিরামপুর ঘাটে শিক্ষক নেতা শহীদ কমরেড আল্লারাখার স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা, পার্টিনেতা বদরুদ্দোজা খান। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে আলোচনা করেন শহীদ কমরেড আল্লারাখার পুত্র মাহমুদাল হাসান। উপস্থিত ছিলেন পার্টি নেতা নৃপেন চৌধুরী, সচ্চিদানন্দ কান্ডারি, মহসিন আলি, আনোয়ার সাদাত। সভাপতিত্ব করেন আকবর আলি।
১৯৯৩ সালের এই দিনে হরিরামপুর ঘাটেই কংগ্রেসী ঘাতক-বাহিনীর হাতে খুন করেন সিপিআই(এম) নেতা কমরেড মহম্মদ আল্লারাখা। এদিন সভায় জামির মোল্লা বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই করেছেন গ্রামের মানুষ। সব মানুষকে সংগঠিত করে আগামীদিনে লড়াই আরও জোরদার হবে।
Comments :0