GST Sitharaman

বছর ঘুরিয়ে জিএসটি’র বকেয়া
মেটানোর প্রতিশ্রুতি কেন্দ্রের

জাতীয়

GST Sitharaman ফাইল ছবি।

পণ্য ও পরিষেবা কর বাবদ বকেয়া রাজ্যগুলিকে মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন বকেয়া ১৬ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। এই বকেয়া গত বছরের জুনের। 

শনিবার পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি’র নিয়ামক পরিষদের বৈঠক ছিল। অংশ নেন রাজ্যগুলির অর্থ মন্ত্রী এবং প্রতিনিধিরা। 

পণ্য ও পরিষেবা কর আইন অনুযায়ী রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য রাজ্য। ২০১৭’র জুলাই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কারণ জিএসটি আইন পাশ হওয়ার সঙ্গে দেশের পরোক্ষ কর ব্যবস্থা বদলে গিয়েছে। জিএসটি চালু হওয়ার আগে রাজ্যগুলি বিক্রয় কর এবং মূল্যযুক্ত কর নিজেরাই ঠিক করত। 

আগের তুলনায় জিএসটি চালুর ফলে রাজ্যগুলির কম আদায় হলে কেন্দ্রকেই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। করোনাপর্বে লকডাউন জারি এবং তার পরের সময়ে রাজস্ব  আদায়ে বেগ পেতে হয়েছে রাজ্যগুলিকে। কিন্তু কেন্দ্র অর্থ দেয়নি।  

এদিন সীতারামন যে বকেয়া মেটানোর ঘোষণা করেছেন তা গত বছরের জুনের। তাতেই কৃতিত্ব নিতে চেয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘জিএসটি ক্ষতিপূরণ তহবিলে বকেয়া মেটানোর মতো পুরে অর্থ নেই। তবু মেটানো হচ্ছে। কেন্দ্রের কোষাগার থেকেই বাকি অর্থ দিয়ে দেওয়া হবে।’’ 

জিএসটি আইন অনুযায়ী কেন্দ্র ক্ষতিপূরণ তহবিলে অর্থ জোগারের জন্য সেস বসিয়েছে। অর্থ মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের থেকে শংসাপত্র আদায় করতে হবে। সেই শংসাপত্র না দিলে বকেয়া মেটানো যাবে না। আইন অনুযায়ী রাজ্য, কেন্দ্র এবং অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের কাছে তথ্য থাকতে হবে।’’ শংসাপত্র না দেওয়ায় কেরালাকে দায়ী করেছেন। পর্যবেক্ষকরা যাকে রাজনৈতিক কৌশল বলেই মনে করছেন।

সীতারামনের দাবি, এক বছর কেরালা শংসাপত্র পাঠায়নি। প্রশ্ন উঠেছে, অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলকে সব হিসেব পাঠানোর পর শংসাপত্র দিতে দেরি করলে কি হবে? সেই দায় রাজ্যগুলির ওপরেই ঠেলে দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘‘রাজ্যগুলিকে এজি’র শংসাপত্র জোগারের দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে।’’ 

সীতারামনের বক্তব্যে বিভিন্ন অংশেরই ক্ষোভ রয়েছে। কারণ যে বকেয়া দেওয়া হচ্ছে, আইন অনুযায়ী তা রাজ্যের প্রাপ্য, কেন্দ্রের বিশেষ অনুদান নয়।    

এদিন জিএসটি পরিষদের বৈঠকে একাধিক পণ্যের করের হার বদলেছে। তার মধ্যে বৈদ্যতিন ট্যাগ, ট্র্যাকিং ডিভাইসে করের হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। 

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, বিশেষ করে খাদ্য এবং ওষুধে জিএসটি কমানোর দাবিতে সরব বহু অংশ। সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি সীতারামন।   

Comments :0

Login to leave a comment