Maharashtra Vote Congress

ভোটের ফারাক ৭%! তবু মহারাষ্ট্রে কারচুপির অভিযোগ খারিজ কমিশনের

জাতীয়

মহারাষ্ট্রে ভোটদানের হারে কারচুপির অভিযোগ খারিজ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকায় অসঙ্গতির অভিযোগও মানতে নারাজ কমিশন। তবে মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিশদে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। 
মহারাষ্ট্রে এক দফায় ২৮৮ বিধানসভা আসনে নির্বাচন হয় ২০ নভেম্বর। ফল প্রকাশ করা হয় ২৩ নভেম্বর। সেদিন বিকেল পাঁচটায় ভোট দেওয়ার নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরই কমিশন জানায় ভোটদানের হার, প্রাথমিক হিসেবে, ৫৮.২২ শতাংশ। ৬ ঘন্টার ব্যবধানে, রাত সাড়ে ১১টায় চূড়ান্ত হিসেবে জানানো হয় ভোটদানের হার ৬৫.০২ শতাংশ। গণনার আগে ফের একবার সংশোধন হয় ভোটদানের হারে। ৬৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় ভোটদানের হার। 
ভোট নেওয়ার সময়সীমার পরই কমিশন যে হার প্রকাশ করে তার সঙ্গে চূড়ান্ত হারের কিছু ফারাক থাকে। বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সময়ের তথ্য ঘেঁটে বলছেন এই ফারাক ১-২ শতাংশের মধ্যেই থাকে। এক লাফে প্রায় ৭ শতাংশ, সংখ্যার বিচারে যা ৭০ লক্ষের বেশি, বেড়ে যায় না।
এই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০ নভেম্বরই ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় দফার ভোট হয়েছিল। সেখানে ভোটের সময় পার হওয়ার ঠিক পর প্রকাশি হারের সঙ্গে চূড়ান্ত হারের ফারাক ২ শতাংশের আশেপাশে। মহারাষ্ট্রে এত বিপুল ফারাক হয় কী করে। আজকের প্রযুক্তিতে নির্দিষ্ট সময়ে প্রায় সঠিক তথ্য পেশ করাও সুবিধানজনক। 
কংগ্রেস কমিশনে পাঠানো স্মারকলিপিতে অভিযোগ তুলেছে যে এ বছর জুলাই মাস থেকে মহারাষ্ট্রের ভোটার তালিকায় ৮৭ লক্ষ নাম বেড়ে গিয়েছে। ৫০টি আসনে গড়ে ৫০ হাজার করে বেড়েছে ভোটারের সংখ্যা। এর মধ্যে ৪৭ আসনেই জয়ী বিজেপি জোট প্রার্থীরা।
মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে কংগ্রেস জোট এমভিএ শোচনীয় পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে। কেবল আসন নয়, দেখা যাচ্ছে, ভোটের হারেও বিজেপি জোট ‘মহায়ুতি’ ১৪ শতাংশ ভোটে এগিয়ে। অথচ মাসখানেক আগে লোকসভা ভোটে কংগ্রেস জোট ১ শতাংশ ভোটে এগিয়ে ছিল। রাজ্যের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩০টিতেই জয়ী হয়েছিল এই জোট। 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্র ক’মাসে কোনও রাজনৈতিক জোট ১৫ শতাংশ ভোট বাড়িয়ে ফেলেছে, এমন ভারতের রাজনীতিতে সচরাচর দেখা যায়নি। লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে হারজিতের ছবি বদলে যায়। কিন্তু এমন বিপুল ভোটের হারে রদবদল বিস্ময়ের।
কংগ্রেসের আইনজীবী ওমর হুদাকে কমিশনের সচিব লিখেছেন, ‘‘ভোটদানে ফারাকের কারণ আগেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ভোটার তালিকায় নাম বাদ বা সংযোজনও সব রাজনৈতিক দলগুলিকে জানিয়েই করা হয়। তবে বিশদে বক্তব্য জানাতে ৩ ডিসেম্বর কমিশনের দপ্তরে আসার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment