ELECTORAL BOND

নির্বাচনী বন্ড: সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত জরুরি, দাবি কংগ্রেসের

জাতীয়

ইলেক্টোরাল বন্ড ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ জোরদার করে কংগ্রেস শনিবার অভিযোগ করেছে যে কর্পোরেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ‘‘তোলাবাজি’’ করা হয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে স্বাধীন তদন্তের প্রয়োজনীয়তা আছে।
কংগ্রেস সাংসদ তথা সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, বিজেপির চারটি ‘দুর্নীতির কৌশল’ – ‘চাঁদা দাও’, ধান্ধা নাও, তোলাবাজি, ঘুষের ঠিকাদারি পাও, ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে ডাকাতি চালাও’।
দুর্নীতির যে চারটি প্যাটার্ন উঠে এসেছে তা গভীর উদ্বেগের বিষয় এবং সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে স্বাধীন তদন্তের প্রয়োজনীয়তা আছে, রমেশ এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন।

‘‘প্রকৃতপক্ষে, গতকাল থেকে, আমরা এই ধরণের দুর্নীতির কয়েক ডজন উদাহরণ উঠে আসতে দেখেছি। কর্পোরেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তোলা হয়েছে, হাজার হাজার কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি লুট করা হয়েছে।
উদাহরণ টেনে রমেশ বলেন, পরিকাঠামো সংস্থাগুলি বিপুল পরিমাণ অর্থ অনুদান দিয়েছে। ‘‘উদাহরণস্বরূপ, নির্বাচনী বন্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম দাতা, মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং, তেলঙ্গানার কালেশ্বরম লিফট সেচ প্রকল্পের সাথে জড়িত ছিল, যা ‘বিশ্বের বৃহত্তম মাল্টি-স্টেজ লিফট সেচ প্রকল্প’ হিসাবে চিহ্নিত ছিল,’’ তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘‘মেঘা মেদিগাড্ডা ব্যারেজের কিছু অংশ নির্মাণ করেছিল, যা প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এরপর থেকে ব্যারেজ ডুবতে শুরু করেছে, যার ফলে করদাতাদের ১ লক্ষ কোটি টাকার অপচয় হচ্ছে’’।
রমেশের কথায়, গত কয়েক বছরে গুজরাটের মোরবিতে এই ধরনের পরিকাঠামোগত বিপর্যয়ের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ‘‘সারা ভারত জুড়ে এই জরাজীর্ণ নির্মিত ব্যারেজ, বিল্ডিং, ব্রিজগুলি কি কিছু মোটা নির্বাচনী বন্ড অনুদান দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে? চাঁদা সংগ্রহের জন্য কি ভারতীয়দের জীবন বিপন্ন হয়েছে?’’ রমেশ জিজ্ঞেস করেন।
কংগ্রেস নেতা আরও অভিযোগ করেছেন যে অনেক সংস্থা নির্বাচনী বন্ড কিনে সবুজ ছাড়পত্র পেয়েছে। নির্বাচনী বন্ডে কত বনভূমি নষ্ট হয়েছে? বিজেপির কোষাগার ভরে রাখার ভার কোন আদিবাসী সম্প্রদায়কে বহন করতে হয়েছে?
ওষুধ সংস্থাগুলি হাজার হাজার কোটি টাকার ইলেক্টোরাল বন্ড দিয়েছে উল্লেখ করে রমেশ বলেন, হেটেরো ড্রাগসের মতো কিছু বড় দাতাকে মার্কিন বাজার থেকে ওষুধ প্রত্যাহার করতে হয়েছে ওষুধে ভেজাল পাওয়ার কারণে। ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কি নির্বাচনী বন্ডের বিনিময়ে দূষিত ওষুধ বাজারে অনুমোদন করেছে?
প্রায় ১,৪০০ কোটি টাকার বৃহত্তম নির্বাচনী বন্ড দাতা হল ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেলস। দেখা যাচ্ছে যে ফিউচারের মালিকের ছেলে বিজেপির সদস্য এবং মালিক নিজেই অনেক সিবিআই মামলার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও ২০২৩ সালের এপ্রিলে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সাথে দেখা করেছিলেন।

Comments :0

Login to leave a comment