একপেশে ম্যাচেই জয় ছিনিয়ে আনল ইংল্যান্ড। সেনেগালের বিরুদ্ধে ৬১% বল পজিশন নিয়ে জয় ব্রিটিশদের। খেলার শুরু থেকেই ইংল্যান্ড, মাঝমাঠ নিজেদের দখলে রাখার চেষ্টা করে। সবথেকে বড় বিষয়, সেনেগালও চেষ্টা করতে থাকে কিন্তু সফল হয়নি তারা। তার কারণ মাঝমাঠ এবং ফরোয়ার্ড লাইনের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া ছিল ব্রিটিশদের। তাছাড়া মাঝমাঠে ডিফেন্সিভ স্ক্রিনে সেনেগালের বেশীরভাগ আক্রমণই আটকে যাচ্ছিল।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার হ্যারি কেন বল বাড়ান বেলিংহ্যামের দিকে। কাট করে ভিতরে ঢুকেই বেলিংহ্যামের পাস হেণ্ডারসনকে এবং জোরালো শটে গোল করলেন হেণ্ডারসন। ইংল্যান্ড এগিয়ে গেল ১-০ ব্যাবধানে। এই গোলটির ক্ষেত্রে বেলিংহ্যামের দৌড়টি ছিল দেখার মতো। এরপরই আবার বুকায়ো সাকার শট চলে যায় বারপোস্টের ওপর দিয়ে।
ইংল্যান্ডের মুহুর্মুহু আক্রমণে সেনাগালের রক্ষণভাগের নাভিশ্বাস ওঠার মতো অবস্থা তখন। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের ৪৮ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠে ইংল্যান্ড এবং ফিল ফোডেনের অ্যাসিষ্ট থেকে গোল করে জান সেই হ্যারি কেন। ফলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড ২-০ ব্যাবধানে এবং এরপরেই বাঁশি বাজে প্রথমার্ধের।
গোটা ম্যাচ জুড়ে অসংখ্য ওয়ান টাচ, দুরন্ত পাস এবং বিষাক্ত ক্রসের নিদর্শন রাখে ইংল্যান্ড দল। পুরো ম্যাচে অসাধারণ ফুটবল। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে সেনেগাল স্ট্রাইকার এডোয়ার্ড মেণ্ডির শট সেভ করেন ব্রিটিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। কিন্তু ইংল্যান্ডকে থামাবে কে? ম্যাচের ৫৭ মিনিটে অসাধারণ ড্রিবলে বুকায়ো সাকার গোল এবং ইংল্যান্ড লিড নেয় ৩-০ ব্যাবধানে। এই গোলটির ক্ষেত্রেও ফিল ফোডেনের অ্যাসিস্ট।
এরপরই ব্রিটিশ কোচ দুটি পরিবর্তন করেন। সাকার বদলে মাঠে আসেন র্যাশফোর্ড এবং ফোডেনের বদলে জ্যাক গ্রেলিশ। ম্যাচের ৮২ মিনিটে র্যাশফোর্ডের সুযোগ নষ্ট না হলে ফলাফল তখনই বদলে যেতে পারত। দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শেষে, ৯১ মিনিটের মাথায় গ্রেলিশের একটি চেষ্টা কিন্তু গোলে রুপান্তরিত হয়নি শেষমেশ।
শেষপর্যন্ত ৩-০ গোলের ব্যাবধানে জিতেই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। একটি গোল, তিনটি পজিটিভ গোলমুখী শট এবং ২৪টি পাসের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন ব্রিটিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেন।
Comments :0