মানুষের কেনার ক্ষমতাই গিয়েছে কমে। গার্হস্থ্য সঞ্চয় ৪৭ বছরে এত কম কখনও হয়নি। আর একশো বছরে আজকের মাত্রায় আর্থিক বৈষম্যও দেখা যায়নি। দেশকে বাঁচানো চূড়ান্ত সুযোগ। চূড়ান্ত সুযোগ দেশের সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে বাঁচানোর। স্বৈরাচারের হাত থেকে বাঁচানোর শেষ সুযোগ সামনে। নির্বাচনে সে কথা ভেবে ভোট দিন।
জনতার কাছে এই মর্মেই আবেদন জানালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট সরকারে দু’দফায় দশ বছর প্রধানমন্ত্রী থেকেছেন তিনি। লোকসভা ভোটের শেষ দফা ভোটগ্রহণের আগে তিনি বলেছেন, ‘‘নোট বাতিলের বিপর্যয়, ত্রুটিপূর্ণ জিএসটি এবং কোভিড মহামারী কালে যন্ত্রণাময় অব্যবস্থা শোচনীয় হাল করেছে অর্থনীতির। ছয় থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে আটকে থাকছে বৃদ্ধির হার। বিজেপি’র মেয়াদে মোট জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধির গড় হার ৬ শতাংশের নিচে।’’
বৃহস্পতিবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি অনুমান রিপোর্টে জানিয়েছে যে দেশে বৃদ্ধির হার চলতি অর্থবর্ষে ৭ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এর আগে দেখা গিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে চূড়ান্ত রিপোর্টে এমন অনুমান সংশোধন করে নিতে হয়েছে। কমে গিয়েছে আর্থিক বৃদ্ধি হারের হিসাব।
পাঞ্জাবের জনতার জন্য বিশেষভাবে আবেদন জানিয়েছেন মনমোহন সিং। কৃষক বিক্ষোভ এবং কৃষকদের ওপর বিজেপি সরকারের লাগাতার আক্রমণ, তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ যোগের প্রচার মনে করিয়ে দিয়েছেন ছোট্ট বাক্যে। তিনি লিখেছেন, ‘‘এই অধ্যায় পাঞ্জাবীদের বিরুদ্ধে অবিরত নিন্দার জন্যও চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্র্ক মোদী। গত দশ বছরে আসলে কৃষকদের আয় কমে গিয়েছে। কৃষকদের আয়ের জাতীয় গড় দাঁড়িয়েছে দৈনিক ২৭ টাকা। অথচ কৃষকদের মাথাপিছু ঋণের অঙ্ক ২৭ হাজার টাকা।’’
Manmohan Singh
‘শেষ সুযোগ’, সপ্তম দফার আগে আবেদন মনমোহনের
×
Comments :0