জানা অজানা
নতুনপাতা
ভৌতিক পাখি
তপন কুমার বৈরাগ্য
১৭ অক্টোবর ২০২৫, বর্ষ ৩
দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়া ,ব্রাজিল,কলোম্বিয়া এইসব দেশে
এক রহস্যময় পাখি দেখা যায়।এরা নিশাচর।এই পাখিকে দেখতে
আমাদের দেশের অনেকটা পেঁচার মতন।এদের রহস্যময় ডাকের
জন্য এদের রহস্যময় পাখি বা ভৌতিক পাখি বলে।একটানা ছয় থেকে সাত ঘন্টা এরা ডাকতে পারে।যে ডাক একটা ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি করে ।যে ডাক সকলের মনে এক ভীতির সঞ্চার করে। এই পাখির নাম গ্রেট পটু বা ঘোস্ট বার্ড।দিনেরবেলায় এরা গাছের সঙ্গে মিশে যেতে পারে।দূর থেকে দেখলে মনে হবে এরা যেন গাছের একটা ডাল।একে ছদ্মবেশী পাখি বলার কারণ এরা
নিজের দেহটা গাছের ডালের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে পারে।অর্থাৎ
এদের দেহের রঙ পরিবর্তনের ক্ষমতা আছে। যে বিষয়টা অন্য
কোনো পাখির মধ্যে দেখা যায় না।সাধারণতঃ এদের পালক
ধূসর বাদামী রঙের।এদের মাংস খুব সুস্বাদু।যার জন্য দক্ষিণ
আমেরিকার অনেক উপজাতির লোকেরা এদের মাংস খাদ্য
হিসাবে গ্রহণ করে।এদের অনন্য গর্জন সত্যিই এক বিস্ময়।এরা অনেক উঁচু পর্যন্ত উড়তে পারে।১৫০০মিটার উঁচু পাহাড়ের শিখরেও এদের দেখা যায়।এরা কোনো সময় চোখ বন্ধ করে ঘুমায় না।এদের চোখগুলো খুব বড় বড়।এতো বড় চোখ
পৃথিবীর অন্য কোনো পাখির মধ্যে দেখা যায় না।মুখটা খুব প্রশস্ত।ঠোঁটটা ছোট, তবে প্রশস্ত। এদের ডানা উপবৃত্তাকার।লেজটা
খুব লম্বাটে।ঠিক যেন একটা গাছের ডাল।এদের ডানা ২৪ইঞ্চি
পর্যন্ত হতে পারে। এরা নিশাচর পাখি হলেও এরা মাংসাশী।
ছোট ছোট পোকামাকড় এবং ছোট ছোট মেরুদন্ডী প্রাণী এরা
খায়।পরিণত পাখি ৮০০গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে।এরা সাধারণতঃ
আগস্ট মাসে ডিম পাড়ে।একটাই ডিম পাড়ে।তবে ডিমের রঙ
ধবধবে সাদা।অনেক সময় এরা গাছের কোঠরে বাসা তৈরী করে।
ডিম পাড়ার সময় এরা গাছের কোঠরে বাসা তৈরী করে।আন্দিজ
পর্বত এবং আমাজন বনে এদের বেশী করে দেখা যায়। দিনের পর দিন এই পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পৃথিবী থেকে এই পাখি অচিরেই বিলুপ্ত হতে পারে।
Comments :0