শেষ শ্রদ্ধা জানানো হলো উগ্রপন্থী হামলায় নিহত সিদ্ধান্ত ছেত্রীকে। গত শুক্রবার জম্বুর রাজৌরিতে তল্লাশি অভিযানে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জওয়ানের। সেই হামলায় নিহত এই পাঁচ সেনা জওয়ানের মধ্যে একজন দার্জিলিঙের পুলবাজার ব্লকের কিজোমবস্তির বাসিন্দা সিদ্ধান্ত ছেত্রী(২৫)। শনিবার দুপুরে জম্বু থেকে দিল্লি হয়ে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে তাঁর মৃতদেহ বাগডোগরা বিমানবন্দরে বায়ু সেনা ছাউনিতে পৌঁছায়। সেখান থেকে সড়কপথে ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে নিয়ে যাওয়া হয়ে। ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে তাঁকে গান স্যালুটে সম্মান জানানো হয়। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিহত জওয়ানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এদিন উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনার কর্ণেল অঞ্জন কুমার বাসুমাতারি, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ শিলিগুড়ি পুলিস জমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত ছেত্রীর দেহ সড়কপথে দার্জিলিঙের পুলবাজার ব্লকের কিজোমবস্তির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রবিবার সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।
২০১৯ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ছোট বেলা থেকেই সেনাবাহিনীর দিকে ঝোঁক ছিলো। ২০১৯সালে প্রথম প্যারা কামান্ডো ও পরে ৯ প্যারা এসএফ’য়ে সিদ্ধান্ত ছেত্রী কর্মরত ছিলেন। গত দুই মাস আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সেই সময়তেই শেষবারের জন্য দার্জিলিঙের বাড়িতে এসেছিলেন। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ফের কাজে যোগ দেন সিদ্ধান্ত। গত পাঁচদিন আগে ফোনে শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো পরিবারের সঙ্গে। সেই সময়তেই পরিবারকে জানিয়েছিলেন বিশেষ অভিযানে যাওয়ার কথা। অভিযান শেষ করে পরিবারকে ফের ফোর করবেন বলেছিলেন। শুক্রবার সিদ্ধান্তের মৃত্যুর খবর তার বাড়িতে এসে পৌঁছাতেই গোটা পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। শোকের আবহ তৈরি হয় দার্জিলিঙের কিজোমবস্তি এলাকায়।
সিদ্ধান্ত ছেত্রীর এক আত্মীয় বিক্রম থাপা এদিন বলেন, আমরা আপনজনকে হারিয়েছি। ভাবতেই পারছি না। আমরা মর্মাহত।
Comments :0