ISRAEL PALESTINE

ঘরে ফিরছেন বন্দিরা, ফের হামলার ছক কষছে ইজরায়েল

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতির মাঝেই হামলার ছক কষতে শুরু করল ইজরায়েল। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী আইডিএফ’র প্রধান হেরজি হলেভি বিশেষ বৈঠক করেছেন সাদার্ন কমান্ডের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে। এই তথ্য জানিয়েছেন টাইমস অব ইজরায়েল।
শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে চারদিনের যুদ্ধবিরতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। যাতে আরও বেশি পণবন্দিকে উদ্ধার করা যায়। 
যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে হামাস এবং ইজরায়েলের বাহিনী, দু’পক্ষকে নিজেদের হেপাজতে থাকা বন্দিদের ফিরিয়ে দিতে হবে। আইডিএফ জানিয়েছে, নতুন করে ১৪ ইজরায়েলী এবং ৩ বিদেশি নাগরিককে রেড ক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে হামাস। কাতার সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন নতুন দফায় আরও ৩৯ বন্দিকে মুক্ত করার কথা ইজরায়েলের। 
৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে অবিরত প্যালেস্তাইনের গাজায় বোমাবর্ষণ শুরু করে ইজরায়েল। এমনকি হাসপাতালের ওপর ফেলা হয় বোমা। হাসপাতালের ভেতর হামাসের গোপন কার্যালয় থাকার যুক্তি দেখিয়ে ইজরায়েলী সেনা আল শিফা হাসপাতালে ঢুকে গুলি চালায়। যুদ্ধের আন্তর্জাতিক বিধি না মেনেই যে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল, সে কথা বলতে হয় রাষ্ট্রসঙ্ঘকেও। 
ইজরায়েলের প্রধান মদতদাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমও জানাচ্ছে এমন ভয়াবহ হামলার নজির ইরাক, আফগানিস্তান বা সিরিয়ায় দখলদারির সময়ও হয়নি। নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, যত কম সময়ের মধ্যে গাজায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, তেমন হয়নি ইরাকে বা আফগানিস্তানে। 
আমেরিকার এই সংবাদ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধ বলছে, দু’বছর ধরে যুদ্ধ চলছে রাশিয়া আর ইউক্রেনের। ইউক্রেনে যত শিশু ও মহিলা নিহত তার দ্বিগুণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গাজার ছোট্ট ভূখণ্ডেই। আইসিসের বিরুদ্ধে আমেরিকা ইরাকের মোসুল বা রাক্কায় যে বোমা ফেলেছিল তার চেয়ে অনেক বেশি মারণক্ষমতার অস্ত্র আকাশ থেকে ফেলা হয়েছে ঘন জনবসতিপূর্ণ গাজায়।   
 

Comments :0

Login to leave a comment