SIKKIM FLASH FLLOD

সিকিমে চারদিন পর জীবন্ত উদ্ধার জওয়ান, মৃত বেড়ে ৫৫

জাতীয়

এভাবেই কাদামাটি সরানোর কাজ চলছে সিকিমে,। মঙ্গনে তোলা ছবি।

হড়পা বানে ভেসে গিয়েছিলেন চারদিন আগে। শনিবার কাদামাটির স্তূপ থেকে উদ্ধার করা হলো সেই জওয়ানকে। জানা গিয়েছে জীবিত রয়েছেন সেনাকর্মী। শনিবার সিকিমে লিনথেমতার এলাকা থেকেই ওই সেনাকর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার সিকিম সরকারের হিসেব, নিহতের সংখ্যা ৫৫। ২৭ জনের দেহ সিকিমে উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকি দেহ উদ্ধার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, জলপাইগুড়িতে। সিকিমের বিপর্যয় মোকাবিলা আয়োগ জানাচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে বিপন্ন এলাকা থেকে। হড়পা বানে ভেঙেছে ১২০৩টি বাড়ি। ২৫ হাজার ৬৫ জন আক্রান্ত। ৬ হাজার ৮৭৫ জনকে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া গিয়েছে।

গত মঙ্গলবার গভীর রাতে মেঘভাঙা বৃষ্টির পর লোনক হ্রদের জল ভাসিয়ে দিয়েছে চারপাশ। বুধবার ভোররাতে তিস্তা নদীর গ্রাসে প্রায় তলিয়ে যায় উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীর জল প্রায় ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। ফলে দোতলা বাড়ি থেকে গাড়ি, বাজার-দোকান- সবই জলের তলায় চলে যায়। তারপর জল সরলেও কাদামাটিতে চাপা পড়ে যায় সবকিছু। এরপর ধীরে-ধীরে পলিমাটি সরিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। একের পর এক দেহ মিলতে থাকে।

উত্তর সিকিমে উদ্ধারকারী দল দিন দুয়েক আগেই পলিমাটির নিচ থেকে উদ্ধার করেছিল একাধিক গাড়ি। শনিবার কাদায় চাপা পড়া সেনাকর্মীকে উদ্ধারের খবর মিলল। এর আগে জলপাউগুড়িতে ভেসে আসা মৃতদেহের মধ্যে ছিল একাধিক সেনার দেহ। তিস্তার চরে দেহ পড়ে থাকতে দেখে প্রশাসনকে খবর দেন স্থানীয়রাই। কোনও কোনও ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কাজে দেরি হওয়ায় ক্ষোভও দেখা গিয়েছে।

শনিবার রাতে মলি-রংপো ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক খুলে দিয়েছে সিকিম সরকার। তবে পর্যটকদের সিকিম যাওয়ায় অনুমতি মেলেনি। বরং গ্যাংটক, লাচেন, লাচুংয়ের মতো এলাকা থেকে আটকে পড়া পর্যটকদের নিচে নামিয়ে আনতে পথ খোলা হয়েছে বলে সিকিম প্রশাসন জানিয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment