LEFT FRONT BIMAN BASU

আরও ২ কেন্দ্রে প্রার্থী বামফ্রন্টের, সার্বিক বোঝাপড়াই লক্ষ্য, বললেন বিমান বসু

রাজ্য লোকসভা ২০২৪

শুক্রবার মুজফ্‌ফর আহমদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বিমান বসু সহ বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ।

আরও ২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বামফ্রন্ট। আরামবাগ এবং ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে দুই সিপিআই(এম) প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। আরামবাগ কেন্দ্রে বিপ্লব কুমার মৈত্র এবং ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে প্রার্থী সোনামণি মুর্মু টুডু। 
সব মিলিয়ে ২৩ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট। কংগ্রেস ৮ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। শুক্রবার সিপিআই(এম) রাজ্য দপ্তর মুজফ্‌ফর আহমদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিমান বসু। ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং বামফ্রন্টের দলগুলির নেতৃবৃন্দ। 
বসু বলেছেন, ‘‘বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরোধী সব শক্তিকে সমবেত করার চেষ্টা করছে বামফ্রন্ট। সেই লক্ষ্যে সময়কে ব্যবহার করা হচ্ছে। একবারে সব নাম প্রকাশ করা হচ্ছে আলোচনার সুযোগ রাখার জন্য।‘‘
এক প্রশ্নে বসু বলেছেন, ‘‘এত সময় লাগছে কেন, এই প্রশ্ন এসেছে। এই পরিস্থিতির মুখে অতীতে দেশ পড়েনি। আবার রাজ্যেও এই পরিস্থিতি অতীতে ছিল না। সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য করার কারবার এভাবে হয়নি। বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে এগোতে হচ্ছে বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী সার্বিক বোঝাপড়া গড়ে তোলার লক্ষ্যে। রাজ্যের রাজনীতিতে তৃণমূল এবং বিজেপি’র দ্বৈরথ ভাঙতে চাই আমরা। এরা দ্বৈরথ দেখাচ্ছে, আবার বোঝাপড়া করে নামছে। সে কারণে আমরা নতুন পথে চলতে চাইছি। অতীতে এই পরিস্থিতি ছিল না।’’
বসু বলেছেন, ‘’৩১ মার্চের মধ্যে বাকি আসনেও বোঝাপড়া সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘আলোচনার সুযোগ যেমন আছে তেমন মনে রাখতে হবে যে আলোচনা মাঝে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়া চলবে না।’’ এক প্রশ্নে তিনি জানিয়েছেন যে কোচবিহার এবং পুরুলিয়া, দুই আসনেই তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলির সার্বিক বোঝাপড়ায় পৌঁছানো সম্ভব।
দার্জিলিঙের হামরো পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অজয় এডোয়ার্ড বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে যোগ দেন। ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চকেও সমর্থন জানান। তাঁর প্রসঙ্গে বিমান বসু বলেন, ‘‘এডোয়ার্ডের ভূমিকা অত্যন্ত ইতিবাচক। লোকসভা ভোটে একসঙ্গে অংশ নিতে আগ্রহী। লড়াইয়ের বৃহত্তর মঞ্চ গড়ে উঠুক, চাইছেন তিনিও। নির্বাচনী বোঝাপড়ার প্রক্রিয়ায় আমাদের বড় প্রাপ্তি।’’
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘দেশের স্বার্থে, সাংবিধানিক কাঠামোকে বাঁচানোর স্বার্থে বিজেপি’কে পরাজিত করা জরুরি। আমাদের রাজ্যে দুর্নীতি-দুষ্কৃতী জোটকে হারানোও জরুরি। বামফ্রন্ট যেমন লড়ছে, সেই লড়াইয়ের ভিত্তিতেই বাইরের শক্তিগুলির সঙ্গেও কথা হচ্ছে। কংগ্রেসের সঙ্গে কথা হয়েছে, হামরো পার্টির সঙ্গে কথা হয়েছে। বামফ্রন্টের ঐক্য রক্ষা করে তার ভিত্তিতেই বৃহত্তর ঐক্য গড়া লক্ষ্য।’’
বামফ্রন্টের অন্য দলগুলির নেতৃবৃন্দও বলেছেন যে সাতচল্লিশ বছর ধরে একটি রাজনৈতিক ফ্রন্ট টিকে রয়েছে। এটি উদাহরণ। তাকে রক্ষা করতেই হবে। বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী ভোট যাতে ভাগ না হয় দেখতে হবে। সেই দিকেই চলা হচ্ছে।

শুক্রবার নাম ঘোষণার পরই দেওয়াল লিখন আরামবাগে।

Comments :0

Login to leave a comment