NALHATI CO-OPERATIVE VOTE

দুর্নীতি-বেনিয়মে ক্ষোভ, নলহাটির সমবায় ভোটে জয়ী বাম গণতান্ত্রিক প্রার্থীরা

জেলা

কয়থা-১ সমবায় উন্নয়ন সমিতিতে জয়ের পর রবিবার সন্ধ্যায় মিছিল। ছবি: রণদীপ মিত্র

রণদীপ মিত্র

নলহাটির সমবায়ে জয়ী হলেন বাম গণতান্ত্রিক প্রার্থীরা। ৩৭ আসনের সমবায়ে ২০-১৭ ব্যবধানে জয়ী হলেন বাম গণতান্ত্রিক  প্রার্থীরা। 
নলহাটির কয়থা-১ সমবায় উন্নয়ন সমিতিতে ভোট হলো ১২ বছর বাদে। মোট ভোটদাতার সংখ্যা ছিল ৩৫৮০।এলাকার সিপিআই(এম) নেতা প্রশান্ত লেট, নাসিম সেখরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, ‘‘মানুষ এমনি এমনি ক্ষুব্ধ হয়নি। চোখের সামনে দেখেছেন, এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে না কিনে সমবায় ধান কিনেছে আড়তের মাধ্যমে। গরিব কৃষকের দুটো পয়সার মুখ দেখার সুযোগ বন্ধ করেছে। এতদিন চেয়ার দখল করে থাকা তৃণমূলের সম্পাদক , সভাপতিরা নিজেদের আত্মীয়দের ঢুকিয়েছে সমবায়ে। কর্মী নিয়োগেও স্বজনপোষণ এলাকাবাসীকে চরম ক্ষুব্ধ করেছে। ফলে মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবেই তাঁদের রায় দিয়েছেন।’’
দীর্ঘদিনের ক্ষোভ, বঞ্চনার জন্য স্থানীয়রা সরব ছিলেন। দাবি তুলেছিলেন নির্বাচনের। অবশেষে হয়েছে সেই নির্বাচন। দুরমুশ হয়েছে তৃণমূল। বাম গণতান্ত্রিক ও কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীদের মঞ্চের কাছে ২০-১৭ ফলাফলে পরাজিত হয়েছে শাকসদলের প্রার্থীরা। কয়থা-১ সমবায় উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে এই জয়ের উচ্ছ্বাসের জোয়ার দেখা গিয়েছে এলাকায়। 
এই সমবায় ঘিরে মানুষের এত ক্ষোভ কেন? প্রথম কারণ দুর্নীতি। নির্বাচনে জয়ী বাম প্রগতিশীল প্রার্থী রেজিনা বিবি, অর্চনা মন্ডলদের বক্তব্য, ‘‘সমবায়ের নামে জমি কেনা হয়েছিল। তাতে বাজরদর যা ছিল তার থেকে দলিলে মূল্য দেখানো হয়েছে অনেক বেশি। বাকি টাকা বেমালুম হাতিয়েছে সমবায়ের বোর্ড। এ নিয়ে মামলা হয়েছে আদালতে। মানুষের কাছে সব খোলসা হয়ে গিয়েছে।’’ 
এক সময় সমবায় পরিচালনার নিরিখে রাজ্যে প্রথম পর্যন্ত হয়েছিল বীরভূমের নলহাট-১ ব্লকের এই সমবায় সমিতি। সেখানেই দুর্নীতি আর বেনিয়মের আখড়া হয়েছিল। 
 

Comments :0

Login to leave a comment