Biswanathpur Hospital

অন্ধকারে দেগঙ্গার হাসপাতাল

জেলা

Biswanathpur Hospital

১২লক্ষ টাকা দামের জেনারেটর আছে। কিন্তু তাতে তেল নেই। ফলে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় পড়ে থাকে গোটা হাসপাতাল। হাসফাঁস অবস্থা চিকিৎসধীন রোগিদের। কোন অজ পাড়া গাঁ নয়। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালের এহেন ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হালহকিকত। যা নিয়ে এলাকায় চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। অভিযোগ, বিদ্যুৎ চলে জেনারেটর থাকা সত্ত্বেও তেল না থাকার কারণে প্রায়শই অন্ধকারে ডুবে থাকে হাসপাতাল।


মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটা থেকে রাত সাড়ে নটা পর্যন্ত অন্ধকারে ডুবে থাকলো দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতাল। মোমবাতি জ্বালিয়ে তিনঘন্টা হাসপাতালের বেডে শুয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন ২০ থেকে ২৫ জন ভর্তি থাকা রোগীরা। বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে প্রায়শই এভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। সরকারিভাবে এই হাসপাতালে ১২ লক্ষ টাকা মূল্যের জেনারেটর দেওয়া হলে সেটি চালু হয়নি। এভাবে বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে বিরুদ্ধে বেহাল চিকিৎসা পরিষেবার অভিযোগ তুললেন স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ওয়াজেদ আলি, মহম্মদ সরিফুল মোল্লারা। হাসপাতালে নার্স ও চিকিৎসকদের যে থাকার ঘর সেখানেও বিদ্যুৎ পরিষেবা ছিল না। যার ফলে চরম ভোগান্তি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে। বিদ্যুৎ পরিষেবা তিন ঘন্টা ধরে বন্ধ ছিল এ প্রসঙ্গে এদিন রাতে বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শ্যামল কুন্ডু সাফাই দেন জেনারেটর চলছিল তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় এই বিপত্তি ঘটে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছি। যত শীঘ্রই সম্ভব তেলের ব্যবস্থা হলে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে বলা হয়, শাসকদলের নেতা মণ্ত্রীরা ফলাও করে প্রচার করেন স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের কথা। অথচ দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা তিন ঘন্টা ধরে বন্ধ থাকে। 

 

কোটি কোটি টাকার বিল্ডিং নির্মাণ হচ্ছে কিন্তু চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি এভাবে অন্ধকারে দিনের পর দিন থাকতে হচ্ছে রোগী থেকে শুরু করে হাসপাতালের কর্মীদের। জরুরি অবস্থায় রোগীরা মারা গেলে তার দায়ভার নেবেন মুখ্যমন্ত্রীর? লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের জেনারেটর পড়ে নষ্ট হচ্ছে। অবিলম্বে বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হোক। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তুষার কান্তি দাস বলেন পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিরোধীরা ছোটখাটো ভুল ত্রুটি নিয়ে  রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে তা কাঙ্খিত নয়। তিনি জানিয়েছেন জেনারেটরের তেল ফুরিয়ে যাওয়া সমস্যা হয়েছিল পরে তেল নিয়ে এসে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়।

Comments :0

Login to leave a comment