সন্ত্রস্থ ভাটোরা দীপাঞ্চল মিছিল করলো বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস কর্মীরা। বৃহস্পতিবার হাওড়ার দীপাঞ্চল ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া চিতনানে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আজাহার মল্লিকের সমর্থনে মিছিল হয়। মিছিলটি ভাটোরা দীপাঞ্চল ছাড়াও কাশমোলী গ্রাম পঞ্চায়েত একটি অংশ ঘোরে। মিছিলে বহু মানুষ পা মেলায়। মিছিলটি উত্তর ভাটোরা গায়েনপাড়া থেকে শুরু হয়ে, ভীনতলা, দর্জিপাড়া, দক্ষিণ ভাটোরা, দক্ষিণ শিবতলা, কুলিয়া ঘাট, কাশমোলী পুকরপাড় হয়ে শোলভাগাই শেষ হয়। মিছিলে প্রার্থী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক দিলীপ ঘোষ, সিপিআই (এম) নেতা পরেশ পাল, সাবিরউদ্দিন মোল্লা, সন্তোষ অধিকারী, শেখ মিরাজউদ্দিন, সৌরভ মন্ডল, শেখ জসিমউদ্দিন, প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র প্রমুখ।
হাওড়ার ভাটোরা দ্বীপাঞ্চল। ঘোড়াবেড়িয়া চিতনানের ১৪টি বুথ ও ভাটোরার ১৬টি বুথ নিয়ে ভাটোরা দ্বীপাঞ্চল। দ্বীপাঞ্চলের এপারে ঘোড়াবেড়িয়া চিতনানের তিনটি বুথ। ২০০৯ সালে সুলতান আহমেদ জেতার পর শোলভাগায় ৪৩টি গরীব মানুষের বাড়ি পুড়িয়ে দেয় তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা শুধুমাত্র সিপিআই(এম) করার অপরাধে। ২০০৯ এর পরবর্তী সময়ে তোলাবাজির পীঠস্থান ভাটোরা দ্বীপাঞ্চল। সেই তোলাবাজির জন্য ভাটোরা দ্বীপাঞ্চলকে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত করেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েতে কাউকে প্রার্থী হতে না দেওয়া, লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে বুথ দখল করে ছাপ্পা। এই কাজ নির্বাচনের বাধ্যতামূলক ঘটনা। তৃণমূলীদের দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে বহু সিপিআই(এম) কর্মী ঘর ছাড়া এই এলাকার। শুধু সিপিআই(এম) কর্মী নয়, তোলার ভাগ নিয়ে মারামারিতে গত ১৫ বছরে তৃণমূলের হাতে তৃণমূল খুন হয়েছে ৭ জন। ভাটোরা দ্বীপাঞ্চলের দুষ্কৃতীরাজ থেকে মুক্ত হতে চাইছে সাধারণ মানুষ। মানুষ তার অধিকার ফিরে পেতে চাইছে।
Lok Sabha Election 2024
দুষ্কৃতীরাজ থেকে মুক্ত হতে চাইছেন ভাটোরা দ্বীপাঞ্চলের মানুষ
×
Comments :0