জাল নিম্নমানের ওষুধে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার না করে আড়াল করার লক্ষ্যে প্রতিবাদী ছাত্র যুব মহিলাদের উপর মমতা ব্যানার্জীর পুলিশের ন্যাক্কার জনক আক্রমণ সহ দমন পীড়ন সহ গ্রেপ্তারের ঘটনায় মেদিনীপুর শহরের মানুষ ক্ষোভ উগরে দিয়ে ধিক্কার জানালেন। ১৬ জন প্রতিবাদী ছাত্র যুব সহ থানার সামনের গেট থেকে গণ আন্দোলনের নেতৃত্ব বিজয় পাল, প্রসেনজিৎ মুদি সহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় টেনে নিয়ে যায় মমতার পোষ্য বাহিনী।
মেদিনীপুর মেডিকেলে জাল, ভেজাল, নিম্নমানের স্যালাইন ওষুধে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা আড়াল করতে মমতা ব্যানার্জীর পুলিশ বাহিনীর প্রতিবাদী ছাত্র যুব মহিলাদের উপর পুরুষ পুলিশ আক্রমণ চালায়। ১৬জন ছাত্র যুব মহিলা কর্মীকে থানায় নিয়ে গিয়ে আটক করে পুলিশ। থানার সামনে গণআন্দোলনের নেতৃত্বরা গেলে থানার গেটের সামনে থেকে প্রাক্তন ছাত্র নেতা প্রসেনজিৎ মুদি, জেলা সভাপতি সুকুমার মাঝি, গণ-আন্দোলনের নেতা বিজয় পাল সহ চারজনকে থানায় ঢুকিয়ে আটক করা হয়। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহর জুড়ে শোরগোল সহ প্রতিবাদী মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।এই গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে শহরের মানুষ ক্ষোভ উগরে দিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দাবী ওঠে নিঃশর্ত মুক্তি।
মেদিনীপুর মেডিকেলে ভেজাল নিম্নমানের স্যালাইন সহ ওষুধের কারবার। গত বৃহস্পতিবার একাধিক প্রসূতি সেই কারনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে ৫ জন প্রসূতিকে তড়িঘড়ি আই সি ইউ তে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার সকালে গড়বেতা থানার এলাকার এক প্রসূতি মামনি রুই দাস এর মৃত্যু হয়। এখনো পর্যন্ত তিন জন কোমায়। সেই নিয়ে গতকাল ছাত্র যুব মহিলাদের বিক্ষোভ ডেপুটেশন কর্মসূচীতে হাসপাতালের আধিকারীকরা বিকাল ৫ টায় সময় দিলেও দপ্তরে তালা লাগিয়ে গা ঢাকা দেয়। রাত ১১ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও প্রসাশন ছাত্র যুব দের সাথে দেখা করার সময় দেননি। শনিবারও যথারীতি ছাত্র যুব মহিলাদের বিক্ষোভ মিছিল সহ ডেপুটেশন কে কেন্দ্র করে পুলিশের বাধা আক্রমণ করার ঘটনা ঘটে। সেই আক্রমণ মোকাবিলা করেই বেলা ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ গেটে ও এমএসভিপি দপ্তরের সামনে দুটি স্থানে অবস্থান প্রতিবাদ হয়। প্রায় সাত ঘন্টা অপেক্ষা করেও প্রসাশন ছাত্র যুব মহিলাদের ডেপুটেশন না নিয়ে এড়িয়ে যান। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের দক্ষিন দিকের গেটের সামনে মেদিনীপুর শহরের ব্যাস্ততম রিংরোড অবরোধ করে এমন ঘটনার প্রতিবাদ সহ বিক্ষোভ অবস্থান চলে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত পুলিশের সাথে চলে বাক বিতন্ডা। বিক্ষোভরতদের দাবী আমাদের ডেপুটেশন নেওয়ার ব্যাবস্থা করুন তাহলে আমরা অবরোধ তুলে নেবো। ১৬ জন কে থানায় আটক করার ঘটনায় থানার সামনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা বিজয় পাল সহ কমরেড গিয়ে দাঁড়ানো মাত্র সাদা পোশাকের বাহিনী তাদেরও টেনে হিঁচড়ে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় জেলা শহর সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অবরোধ শুরু প্রতিবাদ জানিয়ে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী ওঠে। ডাক দেওয়া হয় রবিবার কোতোয়ালি থানা ঘেরাও বিক্ষোভ কর্মসূচীর। আন্দোলনের চাপে পুলিশ প্রসাশন প্রথমেই বিজয় পাল সহ তিন জনকে ছেড়ে দেয়। ঘোষনা করেন বাকীদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে। রাত নয়টার দিকে সবাইকে ছেড়ে দেয় কোতায়ালি থানার পুলিশ। পুলিশ প্রসাশনের এমন দমন পীড়ন সহ গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়ে আগামীকাল মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানা ঘেরাও বিক্ষোভ ও অভিযান ডাক দিয়েছে ছাত্র-যুব-মহিলা সংগঠন। এই অভিযানে উপস্থিত থাকবেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি সহ ছাত্র যুব মহিলা নেতৃত্ব। ঘোষনা করেন বাকীদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে। রাত নয়টার দিকে সবাইকে ছেড়ে দেয় কোতায়ালি থানার পুলিশ।
Comments :0