MODI UNEMPLOYMENT

কারখানা নয়, যুবদের জন্য ওয়েবসাইটের ঘোষণা মোদীর

জাতীয়

যুব অংশকে দেশ গড়ার কাজে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প আনছে কেন্দ্র। রবিবার ‘মন কি বাত’ ভাষণে এমনই উদ্দেশ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘মেরা যুবা ভারত’ ওয়েবসাইট চালু হচ্ছে ৩১ অক্টোবর।

মোদীর ঘোষণায় প্রশ্ন উঠেছে বেকারি এবং কম রোজগারের সঙ্কটে চোখ কেন বন্ধ করে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি মোদী দাবি করেছিলেন গত ৬ বছরের তুলনায় এখন কর্মহীনতার হার সবচেয়ে কম। 

মোদী বলেছেন, ‘’৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিন। ওই দিনই ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হবে। যুবরা দেশ গড়ার বিভিন্ন কাজে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। উন্নত ভারত গড়ার কাজে তাঁরা ভূমিকা নিতে পারবেন।’’

বেকারি নিয়ে রিপোর্টে বিশ্বব্যাঙ্ক জানাচ্ছে, ২০২২ সালে ভারতে ১৫-২৪ বয়সসীমায় বেকারির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.২২ শতাংশ। সেখানে ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে এই একই সময়ে বেকারির হার হলো ১১.৩ শতাংশ, বাংলাদেশে এই বেকারির হার হলো ১২.৯ শতাংশ এবং ভুটানে বেকারির হার হলো ১৪.৪ শতাংশ। 

মোদী সরকারের মেয়াদে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারেরই প্রায় ১০ লক্ষ পদ ফাঁকা। রেল, ব্যাঙ্কের মতো ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রায় বন্ধ। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় নিয়োগ হচ্ছে ‘শিক্ষানবিশ’ হিসেবে। যার না আছে নিশ্চয়তা, না আছে প্রশিক্ষণের মেয়াদ শেষে কাজের নিশ্চিত সুযোগ। এমনকি ভারতীয় সেনায় ‘আগ্নিবীর’ প্রকল্পে ঠিকা নিয়োগের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। 

নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ এবং কর্মহীনতার মাত্রার বাস্তবতার তুলনা হাজির করেছে সিপিআই(এম)। সোশাল মিডিয়ায় পোস্টে সিপিআই(এম) বলেছে, দেশে নিশ্চয়তা আছে এমন কাজের সুযোগ গুরুতর হারে কমেছে। এমনকি কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের সমীক্ষাও দেখিয়েছে যে কাজ রয়েছে যে অংশের তার ৭৯ শতাংশই স্বনিযুক্ত। নিজেরা কোনও কাজের ব্যবস্থা করেছেন, যেখানে সামাজিক সুরক্ষা নেই। 

এর আগে মোদী বলেছিলেন যে তাঁর সরকারের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের মহিলাদের সশক্তিকরণ। উন্নয়নের মিছিলে মহিলাদের সামনের সারিতে শামিল করা।

সিপিআই(এম) পালটা তথ্য দিয়ে বলেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষেই দেখা গিয়েছিল মহিলাদের আয় ২২ শতাংশ কমেছে। ২০২২-২৩ দেখিয়েছে যে আরও ১৬ শতাংশ কমেছে মহিলাদের আয়। স্বনির্ভর বলা হয় যে মহিলাদের তাঁদের ৩৮ শতাংশ গৃহ পরিচারিকার কাজ করেন। এই কাজে সরকারের কৃতিত্ব কোথায়।

তবে মোদী তথ্যে নজর দিতে নারাজ। ররিবার রেডিও ভাষণে তাঁর দাবি, ‘‘বিশ্বের বৃহত্তম কারখানা উৎপাদনের চক্রকেন্দ্র হতে চলেছে ভারত। ভারতে বহু বড় ব্র্যান্ড কারখানা খুলছে। আমরা এসব পণ্য ব্যবহার করলে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে। আমাদের দেশে তৈরি পণ্য ব্যবহারের প্রচার বাড়াতে হবে।’’  

Comments :0

Login to leave a comment