ভারত এখন হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এমনকি দেশের বেশির ভাগ মানুষ এই বাস্তবতা মেনেও নিয়েছেন। শুক্রবার ফের এই দাবি করলেন আরএসএস’র প্রধান মোহন ভাগবত। শুক্রবার নাগপুরে হিন্দুত্বাবদী সংগঠনের মুখপত্রের একটি দপ্তরের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ভাগবত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ অংশকে কটাক্ষ করে বলেন, এখনও কয়েকজন রয়ে গেছেন যাঁরা দেশের এই বাস্তবতাকে উপলব্ধির মধ্যেই আনতে পারছেন না। আবার অনেকই আছেন, তাঁরা বিষয়টি উপলব্ধি করলেও প্রকাশ্যে তা স্বীকার করেন না।
ভারতকে ‘প্রবাহমান রাষ্ট্র’ হিসাবেও আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এখানে হিন্দুত্ববাদের প্রভাবেই ‘শাশ্বত সংস্কৃতি’ গড়ে উঠেছে। তবে, অন্যান্য ধর্মকেও স্বাগত জানিয়েছে হিন্দু ধর্ম। দেশের মূল ভিত্তিই হলো হিন্দু ধর্ম।
এদিনই গুয়াহটিতে অন্য একটি অনুষ্ঠানে ভগবত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এখন থেকে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ না বলে, ভারত বলতে হবে। এমনকি এখন থেকে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটিও উচ্চারণ করা যাবে না বলে হুমকিও দিয়েছেন আরএসএস’র প্রধান। নাগরিকরা ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি যাতে আর না ব্যবহার করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তৎপর হতেও বলেছেন ভাগবত। তাঁর যুক্তি, প্রাচীন কাল থেকেই নাকি ভাষা, জাতি ভেদে সবাই দেশের এই ভূখণ্ডকে ভারত বলেই উল্লেখ করেছেন। ব্রিটিশরা এসেই নাকি তা বদল করে ‘ইন্ডিয়া’র নামকরণ করেছেন। একই সঙ্গে এদিন মোদী সরকারের নয়া শিক্ষানীতিরও পক্ষেও সাওয়াল করেছেন আরএসএস’র প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার বদল ঘটিয়েছিল ব্রিটিশরাই। তাদের চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষানীতি পরিবর্তন করতেই নয়া শিক্ষানীতি চালু করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, দেশের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দেশাত্মবোধ তৈরি করতেই এই শিক্ষানীতি চালু করা হচ্ছে। ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পারিবারিক মূল্যবোধেই দেশের শিশুরা বড় হয়ে উঠতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে অভিভাবকদের সজাগ থাকতেও বলেছেন আরএসএস’র প্রধান।
Comments :0