চাবি খুঁজে পুরীর মন্দিরের রত্নভাণ্ডার খোলার প্রচার নির্বাচনে চালিয়েছিল বিজেপি। ওডিশায় লোকসভার সঙ্গে হয়েছে বিধানসভা ভোট। দীর্ঘ সময় আসীন বিজেডি-কে হারিয়ে জয়ী হয়েছে বিজেপি। রবিবার প্রচারমাধ্যমে হৈ চৈ ফেলে খোলা হয়েছে জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার।
২০২৪-র ভোটে বিজেপির শীর্ষ নেতা নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহ বার বার প্রচারে এসে দাবি করেছিলেন যে রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে খোলা হবে পুরীর মন্দিরে থাকা জগন্নাথের রত্ন ভান্ডার। রবিবার ১১ সদস্যের একটি টিম ঘুরে দেখেছে গোটা রত্ন ভান্ডার। ছয়টি বড় বড় সিন্দুক আনা হয়েছে যাতে করে গয়না নিয়ে যাওয়া হবে লকারে রাখার জন্য।
এখন প্রশ্ন এটাই কেন বিজেপি হঠাৎ করে পুরীর মন্দিরের রত্ন ভান্ডার খোলার জন্য এতো উদগ্রীব হয়ে উঠল! প্রযবেক্ষকরা বলছেন, এখানেও ধর্মীয় আবেগকে ভোটে ব্যবহারের চেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি।
জানা যায় ৪৬ বছর আগে শেষবার খোলা হয়েছিল এই রত্ন ভাণ্ডার। তারপর হারিয়ে যায় তার চাবি। তৈরি হয় নতুন বিতর্কের। নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী নিজে কথা বলেন মন্দিরের দৈতাপতিদের সাথে। গোটা বিষয় নিয়ে মোদী নাকি সেই সময় নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেও ছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমে জানান মন্দিরের কোনও কোনও দৈতাপতি। নির্বাচনের মধ্যে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে গোটা বিষয়ের তদন্ত হবে এবং রত্ন ভান্ডার নিয়ে গঠিত রঘুবীর দাস কমিশনের রিপোর্টও সামনে আনা হবে। কিন্তু আজও সেই রিপোর্ট সামনে আনা হয়নি।
২০১৮ সালে এই রত্ন ভান্ডার খোলার চেষ্টা হলেও তা খোলা যায়নি। রত্ন ভান্ডার খোলা এবং তার অডিট করার জন্য আদালতের পক্ষ থেকে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ সহ কমিটির চারজন সদস্য রবিবার দরজা খুলে প্রবেশ করেন রত্ন ভান্ডারে।
এই দরজা খোলায় এবার জানা যাবে লোক চক্ষুর আড়ালে থাকা সম্পত্তির অর্থমূল্য কত। রত্ন ভান্ডার নিয়ে বিভিন্ন কথা থাকলেও এর ভিতর কী আছে তা অনেকেই জানেন না।
ভারতের একাধিক মন্দিরে এই ধরনের রত্ন্ এবং মূল্যবান সম্পদের ভাণ্ডার আছে। তার অর্থমূল্য জানা নেই। এবার দেখার পুরীর মন্দিরের পর আর কোন কোন মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের কথা সামনে আসে।
OURI RATNA BHANDAR
খুলল পুরীর রত্ন ভাণ্ডার, কিন্তু কোথায় কমিশনের রিপোর্ট
×
Comments :0