কলকাতায় চলছে ন্যাশনাল স্পেস সায়েন্স প্রদর্শনী। ৬ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি বিজ্ঞান প্রদর্শনী চলছে কলকাতার সায়েন্স সিটিতে। এই প্রদর্শনীতে যোগ দিয়েছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন, সত্যেন্দ্র নাথ বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস, সায়েন্স সিটি, বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনলজিক্যাল মিউজিয়াম। এই অনুষ্ঠানের একটি বিষয় ছিল স্পেস সায়েন্সে ভারতীয় মহিলাদের অংশ গ্রহণ। পড়াশোনো থেকে বিজ্ঞান গবেষনায় কি কি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় মহিলাদের এই সব নিয়ে আলোচনা হয় বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনলজিক্যাল মিউজিয়ামে।
এই আলোচনায় অংশ নেন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর বিজ্ঞানী শ্যামা নরেন্দ্র নাথ। তিনি সেখানে স্যাটেলাইট মিশন বিভাগের বিজ্ঞানী। তার কথায়, যে কোনও পেশাতেই মহিলাদের নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয় না। এখনও মেয়েরা পড়াশোনো করে যতই এগোক না কেন পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের চাপ চলে আসে। ছেলেদের ক্ষেত্রে সেটা অনেকটাই কম। কিন্তু তারপরেও মেয়েরা এগোচ্ছে। এখন বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা বা গবেষণায় মেয়েরা অনেকটাই এগিয়ে বলে জানান তিনি। অভিভাবকদের এক্ষেত্রে পড়ুয়াদের পাশে থাকার আহবান তাঁর।
আলোচনায় অংশ নেন এস সীতা, তিনি রমন রিসার্চ ইন্স্টিটিউশনের বিজ্ঞানী। পদার্থবিদ্যা তার সব সময়েই পছন্দের বিষয়। তিনি জানান তার সময়ে বিজ্ঞান গবেষণায় খুব কম মহিলারা আসতেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি দেখেছেন বহু মেয়েরা আসছে মহাকাশ গবেষণায় এবং নানা ধরনের আবিষ্কার ও প্রকল্পে অংশগ্রহণ করছে। কর্মক্ষেত্রে মহিলা বলে কখনই কোনো সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি। বরং পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে স্বচ্ছন্দেই কাজ করেছেন বরাবর। কিছু ক্ষেত্রে পারিবারিক বাধা থাকলেও তা শিক্ষা ও যোগ্যতার মাধ্যমে জয় করছে মেয়েরা। মেয়েদের মেধা নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তোলাটাও অবাঞ্ছিত বলে মনে করেন তিনি।
[ad}
এছাড়াও আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন ইসরোর আরেক বিজ্ঞানী নন্দিনী হরিনাথ। তবে সকলেরই বক্তব্য লিঙ্গ বিচারে নয় বরং বিজ্ঞানের ভিত্তিমূলক দিক নিয়ে পড়াশোনার আগ্রহ বাড়ুক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। শুক্রবারের এই অনুষ্ঠানে প্রায় ২৫০ স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়ারা অংশ নেয়। বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে তারা।
Comments :0