NEWSCLICK STATEMENT

প্রতিবেদনই প্রমাণ দিচ্ছে দেশবিরোধী নই, বলল নিউজ পোর্টাল

জাতীয়

প্রবীর পুরকায়স্থ

চীন বা চীনা কোনও সংস্থার থেকে আর্থিক মদত নেয়নি ‘নিউজক্লিক’। চীনের কোনও নির্দেশ পায়নি। কখনও হিংসা, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং অবৈধ কার্যকলাপে মদত দেয়নি এই পোর্টাল। 

সোমবার নিউজ পোর্টাল ‘নিউজক্লিক’-র সাংবাদিকদের বাড়িতে তল্লাশি এবং গ্রেপ্তারি চালায় দিল্লি পুলিশ। কিন্তু এফআইআর প্রকাশ করেনি। দিল্লি পুলিশের এফআইআর সামনে এসেছে শুক্রবার রাতে। তারপর এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ‘নিউজক্লিক’। 

শনিবারও কেরালায় নিউজক্লিক-র এক প্রাক্তন সাংবাদিকের বাড়িতে হানা দেয় দিল্লি পুলিশ। শুক্রবার ‘নিউজক্লিক’ মামলা উঠেছে দিল্লি হাইকোর্টে। নিম্ন আদালতে হেপাজতে নেওয়ার কারণ না জানিয়েই প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ এবং আধিকারিক অমিত চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। হেপাজতে পাঠানোর সেই প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন তুলেছে দিল্লি হাইকোর্ট। ৯ অক্টোবর, সোমবার মামলার শুনানি রয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। 

দিল্লি পুলিশের এফআইআর-এ বিদেশ থেকে টাকা নিয়ে দেশবিরোধী কার্যকলাপের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে এই নিউজ পোর্টালকে। হিংসায় উসকানি দেওয়া, অবৈধ কাজে মদত দেওয়ার অভিযোগ জানানো হয়েছে। তার প্রতিবাদে বিবৃতি জারি করেছে নিউজক্লিক-ও। 

সাংবাদিকদের একটি মঞ্চের হিসেবে জানা গিয়েছে যে ১৭ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ দমন আইন ইউএপিএ জারি করে রাখা হয়েছে। তার মধ্যে ৭ জন জেলে। মোদী সরকারের মেয়াদে সংবাদমাধ্যমের শ্বাসরোধের এই চেহারা সামনে এসেছে। 

নিউজক্লিক বলেছে, ‘‘অভিযোগ যে অসত্য তা প্রমাণ করার জন্য আমাদের নিউজ পোর্টালই যথেষ্ট। তার প্রতিবেদন দেখলেই স্পষ্ট হয় আমাদের বক্তব্য সঠিক।’’ বলা হয়েছে, ‘‘এফআইআর-এ অসত্য অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমন অভিযোগ এর আগেও তোলা হয়েছে। ইডি, ইকনমিক অফেন্সেস উইং, দিল্লি পুলিশ এবং আয়কর দপ্তর যৌথভাবে তদন্ত চালিয়েছে। কিন্তু তদন্ত করে একটি চার্জশিট দাখিলের জায়গাতেও পৌঁছাতে পারেনি তদন্ত সংস্থা।’’

আগের তদন্ত সংক্রান মামলায় প্রবীর পুরকায়স্থের গ্রেপ্তারিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। নিউজক্লিক বলেছে, ‘‘আদালতের সেই নির্দেশকে অমান্য করার কৌশলে নতুন এফআইআর দায়ের হয়েছে। ইউএপিএ চাপানো হয়েছে।’’  

জানা গিয়েছে এফআইআর-এ নাম রয়েছে এমন দশ সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দিল্লি পুলিশ। এদিন কেরালায় এবং গত সোমবার সাংবাদিকদের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্ন করা হয়েছিল কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে কী লেখা হয়েছে। প্রশ্ন করা হয় যে এনআরসি-সিএএ বিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে কী লেখা হয়েছে। 

দেশজুড়ে প্রতিবাদে নেমেছেন সাংবাদিক এবং প্রতিবাদী বিভিন্ন অংশ। তাঁরা বলেছেন, সরকার বিরোধী বক্তব্যকেই দেশদ্রোহ বলে চালাতে চাইছে কেন্দ্রে আসীন বিজেপি সরকার।

Comments :0

Login to leave a comment