MANIPUR JAWAN COMPENSATION

আজও ক্ষতিপূরণ পায়নি মণিপুরে নিহত কাঁকিনাড়ার জওয়ানের পরিবার

রাজ্য

MANIPUR JAWAN COMPENSATION সুরক্ষা বাহিনী এভাবেই টহল দিয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। ছবি সংগৃহীত।

মণিপুরে হিংসা থামাতে গিয়ে নিহত হয়েছিলেন রণজিৎ যাদব। মৃত্যুর তিন মান পরও ক্ষতিপূরণ পায়নি এই বিএসএফ জওয়ানের পরিবার। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ার এই যুবক পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। 

রণজিৎ যাদবের স্ত্রী কৌশল্যা সংবাদমাধ্যমে বলেছেন যে শেষবার ঘর ছাড়ার সময় রণজিৎ বলে গিয়েছিলেন ফিরে বোনের বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। সেই কথা আর রাখতে পারেননি। রণজিত যাদবের ১১ বছরের সন্তান রয়েছে। 

মণিপুরে মেইতেই এবং কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে হিংসায় অন্তত ১৬০ জন নিহত হয়েছেন। কয়েক হাজার মানুষ রয়েছে শরণার্থী শিবিরে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে সুরক্ষাবাহিনীর কর্মীরাও। 

কৌশল্যা যাদব মণিপুর সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র বা রাজ্যের সরকার আধা সামরিক বাহিনীর এই জওয়ানের পরিবারকে এখনও কিছু জানায়নি। 

মণিপুরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে মে’র শুরুতেই। প্রায় চার মাস হতে চলল। এখনও হিংসার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে জ্বালিয়ে দেোয়া হয়েছে বহু বাড়ি। অত্যাচারের শিকার হয়েছেন শিশু ও মহিলারা। মণিপুরে দলবেঁধে মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় দেশময় নিন্দার ঝড় বয়েছে। কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিজেপি সরকার কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে। 

৬ জুন রণজিত গুলিবিদ্ধ হন। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তখন গোলাগুলি চলছে। কাকচিঙের জিতন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বিএসএফ’র এক আধিকারিকের দাবি কুকি উগ্রপন্থীদের একটি অংশ সেদিন গুলি চালিয়েছিল বিএসএফ জওয়ানদের লক্ষ্য করে। স্থানীয় একটি হাই স্কুলে বিএসএফ’র ক্যাম্প করা হয়। গুলিতে আহত হন আসাম রাইফেলসের দুই জওয়ানও।

রণজিৎ যাদবের দুই বোন। ছোট বোনের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা রয়েছে। রয়েছে এক ভাই। বাড়িতে আছেন বাবা-মা। এই পরিবারের আর্থিক দায়িত্ব ছিল বিএসএফ’র জওয়ানের কাঁধেই।    

Comments :0

Login to leave a comment