আজ ১৮ মে। ১৯৬০ সালের আজকের দিনেই টানা নিজেদের পঞ্চম ইউরোপিয়ান খেতাব ( বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেই সময় রিয়াল যা করেছিল। তার স্বপ্নই দেখে ইউরোপের অন্যান্য ক্লাবগুলি। ১৯৫৫ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত পর পর ৫বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। আজকের দিনে ১৯৬০ সালের পঞ্চম খেতাবের ম্যাচে রিয়ালের প্রতিপক্ষ ছিল এইনট্রাঙ্খট ফ্র্যাংকফুর্ট। ফাইনালটি হয়েছিল গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্ক স্টেডিয়ামে। ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রিয়ালের দুই কিংবদন্তি অ্যালফ্রেড ডি স্টিফানো এবং ফেরেঙ্ক পুসকাস। ২৭, ৩০ ও ৭৩ মিনিটে গোল করেন ডি স্টিফানো। ৪৫+১ , ৫৬ , ৬০ এবং ৭১ মিনিটে গোল করেন পুসকাস। রিয়াল মাদ্রিদের গৌরবান্বিত ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই দুই ফুটবলার। একজন আর্জেন্টাইন। অন্যজন ১৯৫৪ সালের হাঙ্গেরির ' দ্যা ম্যাজিকাল ম্যাগিয়ার্স ' দলের অন্যতম প্রধান সদস্য । ডি স্টিফানো পরবর্তীতে ১৯৫৭ এবং ৫৯ এ ব্যালন ডি অর জেতার পর ১৯৮৯ সালে জিতেছেন সুপার ব্যালন ডি অর। পুসকাসের পরিমন্ডলে অভিভূত হয়ে তার সম্মানেই ২০০৯ সালে উয়েফা তার নামে একটি ট্রফির নামকরণ করেন। ' পুসকাস অ্যাওয়ার্ড ' দেওয়া হয় এক মরশুমে সবথেকে সুন্দর গোলের মালিককে। ১৯৬০ সালে এই খেতাব জয়ের পরই পর পর ৫বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইউরোপ তথা বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের একাধিপত্য বিস্তার করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর ১৯৬৬ তে ষষ্ঠ, ১৯৯৮ তে সপ্তম , ২০০০ সালে অষ্টম এবং ২০০২ সালে নবম খেতাব জয় করে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে তাদের ' লা ডেসিমা ' ( দশম খেতাব ) জয় করতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল প্রায় ১২ বছর। ২০১৪ তে ঘরোয়া প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকোকে হারিয়ে দশম খেতাব জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। জিদান কোচ হয়ে আসার পর ২০১৬ , ১৭ এবং ১৮ তে ফের পর পর তিনবার জিতেছিল তারা। স্পর্শ করেছিল নিজেদেরই রেকর্ড। প্রথম কোচ হিসেবে পর পর তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব অর্জন করায় বিশ্ব ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে কোচ হিসেবে স্মরণীয় হয়েগেছিল জিদানের নাম। ২০২২ এবং ২০২৪ এ তাদের খেতাব জেতান কার্লো আন্সেলত্তি । আপাতত ১৫ টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফির মালিক ইউরোপ তথা বিশ্ব ক্লাব ফুটবলের চিরন্তন সম্রাট রিয়াল মাদ্রিদ। যতদিন এই পৃথিবীতে ফুটবল নামক খেলাটি থাকবে ততদিনই শাশ্বত হয়ে থাকবে রিয়াল মাদ্রিদের নাম।
Comments :0