গত ১৭ বছর ধরে ছিলেন ভারতে। তাঁকে গায়ের জোরে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু
ভারত থেকে পাকিস্তানে ফেরার পথে শ্রীনগরে মৃত্যু হল এক পাক নাগরিকের। পুলিশ সূত্রে খবর মৃতের নাম আব্দুল ওয়াহিদ(৬৯)। পুলিশের দাবি ভিসার মেয়াদ শষ হয়ে যাওয়ার পরেও ১৭ বছর ভারতে ছিলেন আব্দুল।
পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার ‘দাওয়াই’ হিসাবে দেশ জুড়ে পাকিস্তানি নাগরিক বলে চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার, এর জেরে বহু করুণ চিত্র উঠে আসছে। ভারতের এই পদক্ষেপে পালটা পাকিস্তান ওদেশ থেকেও ভারতীয়দের বিতরাতি করা হচ্ছে। দু’দেশের শাসকের এমন পদক্ষেপে দিশাহারা আম জনতা। সীমান্তের দু’পারের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষকে আচমকা ঠেলে দেওয়া হয়েছে চরম অনিশ্চিয়তা, গভীর আশঙ্কার মুখে। টানা ১৭ বছরের ওপর এদেশে বসবাস করার পরও তাঁকে পাকিস্তানে চলে যেতে বাধ্য করেছে মোদী। পুলিশ সূত্র বলছে, ভিসার মেয়াদ শষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারতে থাকছিলেন আব্দুল। বৃহস্পতিবার অটারী হয়ে তাঁকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল। সেইমতো আব্দুল রওনা দেন। কিন্তু অমৃতসরের কাছে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আব্দুলের।
পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত থেকে
পাকিস্তানে ফিরে গেছেন, প্রায় ন’শোর ওপর সাধারণ নাগরিক। যাঁদের মধ্যে অনেকেই পাঁচ দশকের ওপর এদেশে কাটিয়েছেন। ভারতীয় নাগরিক হিসাবে তাঁদের সমস্ত সরকারি নথিপত্র থাকলেও গায়ের জোরে ওদেশে পাঠিয় দেওয়া হচ্ছে। এর জেরে শিশু থেকে প্রবীণ, সমস্ত বয়সিরা। দু’দেশের এই চরম অমানবিক পদক্ষেপে শিশুদের ফেলে রেখে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন মা, বৃদ্ধ স্বামীকে রেখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়ছেন স্ত্রী। কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে তার চিকিৎসা করতে যাঁরা এসেছিলেন এদেশে সেই গুরুতর অসুস্থরাও মাঝপথে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এমনই এসব মার্মান্তিক ঘটনায় এখন সীমান্তের দু’পারে শুধুই কান্না, হাহাকার।
ইতিমধ্যে পাকিস্তান থেকেও ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন এক হাজারের ওপর ভারতীয় নাগরিক। পাকিস্তান সরকার ভাতীয়দের ভিসা বাতিল করায় তাঁরা ভারতে পৌঁছে গেছেন বলে সরাকরি সূত্রে জানা গেছে। যাঁরা ফিরে এসেছেন তাঁদের মধ্যে ২৫ জন কূটনৈতিক আধিকারিকও আছেন। সবমিলিয়ে এদেশে এখনও পর্যন্ত ১, ৪৬৫ জন ফিরে এসেছেন বলে জানানো হয়েছে।
Comments :0