Post Editorial

আদানির কারবার একেবারেই বেআব্রু

উত্তর সম্পাদকীয়​

Post Editorial


নীলোৎপল বসু 
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দুনিয়ার দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি ও তাঁর কোম্পানিগুলি শেয়ার বাজারে টালমাটাল অবস্থার মধ্যে পড়েছিল। আদানির সব সংস্থার শেয়ারই হুড় হুড় করে নেমে যায়। তাঁর সম্পদের মূল্য অর্ধেক হয়ে যায়, বিশ্বের সম্পদ তালিকায় তাঁর অবস্থান কুড়ির নিচে চলে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গের একটি রিপোর্টেই এই বিপর্যয় ঘটে যায়। 
শুরুতে এই রিপোর্টকে আদানি উড়িয়ে দেন, অভিহিত করেন ‘ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ’ বলে। তিনিই যেন ভারত, তিনিই যেন ভারতের প্রতিশব্দ, এমন এক ভঙ্গিমায় তাঁকে দেখা গেল। কিন্তু হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে বলা হয়েছিল আদানি গোষ্ঠী কর্পোরেট ইতিহাসে ‘বৃহত্তম প্রতারক’। এই বিশেষণ বেশ কিছুদিন গায়ে লেগে ছিল। আজকের বিশ্বায়িত শেয়ার বাজারে কেবলই বার্তাবাহককে, এক্ষেত্রে হিন্ডেনবার্গকে গলা ফুলিয়ে আক্রমণ করলেই ক্ষতি পূরণ করা যায় না। 
অভিযোগ গুরুতর। শিখণ্ডী সংস্থাকে ব্যবহার করা, বিদেশি তহবিলকে ঘুরপথে মূলধনী বাজারে বিনিয়োগ করা, এবং বাজারের বিধি লঙ্ঘনের এই বিপুল কারবার দেখেও  প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সচেতন উদাসীনতা। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়ে যে এত হই চই হয়েছিল তার একটা বড় কারণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা, ভারতের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের তদন্ত করার ক্ষেত্রে অনীহা। আদানির কর্পোরেট সাম্রাজ্যে কী চলছে তা স্বাধীনভাবে ও বিশদে অনুসন্ধান করতেই চায়নি তারা। এটা বিস্ময়কর নয় যে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকাও সামনে চলে এসেছে। লোকসভায় স্পষ্ট প্রশ্ন উঠেছিল তাঁর সঙ্গে আদানির সম্পর্ক কী, তিনি নীরবতা পালন করেছেন। কিন্তু তাতে প্রশ্ন থামেনি এবং এখন আরও তীব্রতা নিয়ে তা ফিরে এসেছে।  

নতুন তথ্য ফাঁস
অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশান রিপোর্টিং প্রোজেক্ট (ওসিসিআরপি)-এর সর্বশেষ রিপোর্টে আদানির আর্থিক লেনদেনের গোপনীয়তার জাল ছিঁড়ে ধাঁধার সমাধান করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি মদত এবং যে বিধিবদ্ধ সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রণ করার কথা তাদের স্বাধীনতা এবং বস্তুনিষ্ঠা প্রশ্নের মুখে পড়ে গেছে। 
আদানি-হিন্ডেনবার্গ প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট ওই কমিটিকে বলেছিল আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি সম্পর্কে সামগ্রিক মূল্যায়ন পেশ করতে। তার আগে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার (সেবি) তদন্তের মেয়াদও তিন মাস বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেবি’র তরফে দেওয়া তথ্যে অস্পষ্টতা থাকার দরুনই মূলত বিশেষজ্ঞ কমিটি কোনও নির্দিষ্ট উপসংহারে পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু আর্থিক প্রশ্নে আদানি গোষ্ঠীর বিশৃঙ্খলা রয়েছে এবং তা তারা তা এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করছে এমন অন্তর্নিহিত স্বীকৃতি ছিল। অনেক প্রশ্নের উত্তর না মেলায় বৃহত্তর ভারতের মূলধনী বাজারের স্থিতিশীলতাকেও তা বিপন্ন করেছে। 
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে আদানিদের অন্যায় কাজ সম্পর্কে গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল, গভীর উদ্বেগেরও জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু সেখানে প্রমাণের কিছু ফাঁক ছিল। সেই অর্থে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট ছিল অসম্পূর্ণ এবং আদানিরা ঠিক কোন আইন লঙ্ঘন করেছে তা চিহ্নিত করা হয়নি। 
ওসিসিআরপি’র প্রতিবেদন ফাইনান্সিয়াল টাইমস, গার্ডিয়ান পত্রিকায় ৩১ আগস্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে মরিশাস-ভিত্তিক ইমারজিং ইন্ডিয়া ফোকাস ফান্ড (ইআইএফএফ) এবং ইএম রিসার্জেন্ট ফান্ড ( ইএমআরএফ) আদানির চারটি সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ করেছে এবং শেয়ার কেনাবেচা করেছে। ২০১৩ থেকে ২০১৮’র মধ্যেই সবচেয়ে বেশি এই কেনাবেচা ঘটেছে। এই ফান্ডগুলির দুই বিদেশি বিনিয়োগকারী ছিলেন সংযুক্ত আরব আমীরশাহীর নাসের আলি শাবান আলিহ ও তাইওয়ানের চাঙ চুঙ-লিঙ। 
বারমুডা-ভিত্তিক গ্লোবাল অপরচুনিটিস ফান্ড নামে এক ফান্ডের মাধ্যমে এই টাকা খাটানো হয়েছে। নাসের আলি ও চাঙ চুঙ-লিঙ আদানির শেয়ার কিনতে যে টাকা খাটিয়েছেন ২০১৭-র মার্চে তার পরিমাণ ৪৩০ মিলিয়ন ডলার বা টাকার অঙ্কে প্রায় ২৭৯৫কোটি টাকা। ২০১৭-র জানুয়ারিতে এই দুই বিনিয়োগকারী মিলে আদানি এন্টারপ্রাইজেসের ৩.৪%, আদানি পাওয়ারের ৪%, আদানি ট্রান্সমিশনের ৩.৬% শেয়ারের মালিক ছিলেন। 
ওসিসিআরপি’র অনুসন্ধানে আরও প্রকাশিত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমীরশাহী ভিত্তিক গোপন ধাঁচের সংস্থা এক্সেল ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড অ্যাডভাইসরি সার্ভিসেস লিমিটেড যার মালিক হচ্ছেন গৌতম আদানির ভাই এবং আদানি প্রোমোটার গ্রুপের সদস্য বিনোদ আদানি তারা ইআইএফএফ, ইএমআরএফ এবং গ্লোবাল অপরচুনিটিস ফান্ড থেকে ‘পরামর্শদাতা’ হিসাবে ১৪ লক্ষ ডলার পেয়েছে ২০১২-র জুন থেকে ২০১৪-র আগস্ট মাসের মধ্যে। অনুসন্ধানকারীরা কেবল লেনদেনের বিশদই জোগাড় করেননি, সংস্থাগুলির ভেতরের ই-মেল খুঁজে পেয়েছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে বিনোদ আদানির এক্সেল ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড অ্যাডভাইসারি সার্ভিসেসের পরামর্শে তারা আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে। 
এটি নতুন প্রাথমিক প্রমাণ যে ইআইএফএফ, ইএমআরএফ এবং গ্লোবাল অপরচুনিটিস ফান্ড শিখণ্ডী সংস্থা যার মধ্যে দিয়ে বিনোদ আদানি আদানি গোষ্ঠীর সংস্থার শেয়ারে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। যদি আদানিদের তিনটি সংস্থায় এই বিদেশের সংস্থাগুলির মাধ্যমে নাসের আলি, চাঙ চুঙ লি’র বিনিয়োগ যুক্ত করা হয় তাহলে বিনোদ আদানির শেয়ারের অংশীদারিত্ব এবং প্রোমোটার গ্রুপের ঘোষিত অংশ গণ্য করা হয় তাহলে আদানি এন্টারপ্রাইজেস এবং আদানি ট্রান্সমিশনে প্রোমোটার প্রুপের অংশীদারিত্ব ২০১৭-র জানুয়ারিতে ছিল ৭৮ শতাংশের বেশি। সিকিউরিটিস কন্ট্রাক্টস (রেগুলেশন) বিধির ১৯-ক ধারায় বলা আছে এই অংশীদারিত্ব সর্বোচ্চ ৭৫% হতে পারে। স্পষ্টতই এই নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে।  
ওসিসিআরপি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের সঙ্গে আরও অতিরিক্ত প্রমাণ দিয়েছে— কীভাবে বিনোদ আদানি করছাড়ের দেশগুলিতে শিখণ্ডী সংস্থাগুলির বিপুল জাল ছড়িয়েছেন। যদি আরও শিখণ্ডী সংস্থা ও লেনদেনের তদন্ত হয় তাহলে আদানি গোষ্ঠীর নিয়ম লঙ্ঘণের আরও তথ্য প্রকাশিত হতে পারে। 
সেবি: শুধু অকর্মণ্যতাই নয় 
ওসিসিআরপি রিপোর্ট সম্পর্কে আদানি গোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া হলো এইসব ‘ রিসাইকলড অভিযোগ’। এইরকম প্রতিক্রিয়াই প্রত্যাশিত ছিল। প্রোমোটার গ্রুপের অংশীদারিত্বের সর্বোচ্চ সীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ছাড়াও এই রিপোর্টের আরেকটি দিক গুরুত্বপূর্ণ। এ থেকে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের বড় রকমের ব্যর্থতার সূত্র মিলছে। রিপোর্টে দেখানো হয়েছে ভারতের শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবিকে দু’বার আদানি গোষ্ঠীর সন্দেহজনক লেনদেনের কথা জানানো হয়েছিল। ২০১৪ সালে রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান সেবি’র চেয়ারম্যানকে জানিয়েছিলেন আদানি গোষ্ঠী একটি ক্ষেত্রে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ওভার ইনভয়েসিং করেছে যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে। এই ঘটনা নিয়ে ডিআরআই তদন্ত করছিল। সেবি এই তদন্ত নিয়ে এগোয়নি। 
২০১৪-তে ভারতে বড় ঘটনা ঘটে, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হন। ডিআরআই যাঁকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল সেবির সেই চেয়ারম্যান উপেন্দ্র কুমার সিনহাকে মোদী সরকার দু’দুবার মেয়াদ বৃদ্ধি করে। ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তিনি সেবি’র চেয়ারম্যান থেকে যান। আদানি গোষ্ঠী এনডিটিভি কিনে নেবার পরে এ বছরের মার্চে সিনহা তাদের নন-এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান হয়েছে। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের ঠিক পরপরই। 
বিহার ক্যাডারের অফিসার হিসাবে সিনহা ১৯৭৬সালে আইএএস-এ যোগ দেন। অনেকগুলি জায়গায় কাজ করেছেন, বিশেষ করে চাকরির শেষদিকে আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে। এনডিটিভি ছাড়াও সিনহা বেশ কয়েকটি কর্পোরেট সংস্থার স্বাধীন ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করছেন। যেমন নিপ্পন ইন্ডিয়া লাইফ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, বেদান্ত, হ্যাভেলস, এইচডিএফসি। ২০২৩-এর মার্চে সিনহার নিয়োগ স্পষ্টতই ‘স্বার্থের সংঘাত’। 
ওসিসিআরপি রিপোর্টে তদানীন্তন ডিআরআই ডিরেক্টর জেনারেল নাজিব শাহকে উদ্ধৃত করে বলা রয়েছে ২০১৪-র জানুয়ারিতে সিনহাকে লেখা চিঠিতে তিনি কী বলেছিলেন: ‘‘সরিয়ে ফেলা টাকা সম্ভবত ভারতের শেয়ার বাজারে ঢুকেছে আদানি গোষ্ঠীতে বিনিয়োগ এবং সেখান থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে।’’ হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে বলা হয়েছিল ফান্ডের টাকা ‘ঘুরেফিরে’ আসার পরে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গিয়েছিল। ওসিসিআরদি রিপোর্টেও এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রশ্নটি সিনহার কাছেও তোলা হলে ফেব্রুয়ারি মাসে ‘দ্য ওয়্যার’-কে তিনি বলেন, ‘‘ আমার কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশিত হবার পরে প্রথম জানা গেছে যে ‘রাউন্ডট্রিপিং হচ্ছে এবং তার জন্য শেয়ারের দাম চড়ছে।’’ 
তিনি আরও বলেন, সেবি বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক শেয়ার কী দামে বিক্রি হচ্ছে তা নজর রাখার জন্য নির্দিষ্টভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত নয়। আগে থেকে যদি ‘কোনও উলটো পালটা হচ্ছে’ বলে খবর না থাকে তাহলে এইসব দেখা হয় না। সিনহার স্মৃতিবিভ্রম ঘটেছে। ২০১৪-তে ডিআর‌আই’র চিঠির কথা তাঁর রাডার থেকে সম্পূর্ণ মুছে গিয়েছে। 
এই ব্যাপারে সিনহা ক্রল-কে বলেছেন, ‘‘ আমি সেবি থেকে অবসর নিয়েছি। ৯ বছর আগে কী ঘটেছিল তার সবকিছু নিশ্চয়ই আমার মনে থাকার কথা নয়।’’ কী ঘটেছিল, তিনি ‘‘মনে করতে পারছেন না’’ বলে এড়িয়ে গেছেন। বরং তাঁর পালটা বক্তব্য, ‘‘৯ বছর আগে কিছু ঘটেছিল বলে আমাকে এখানে ডিরেক্টর করা হয়েছে বলে কেউ অভিযোগ করলে আমার কিছু বলার নেই।’’ 
গার্ডিয়ান—এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হবার পরে আদানি গোষ্ঠী নিয়ে তদন্ত করার আগ্রহ কমে যায়। আদানি-মোদী সংযোগ উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ২০১৪-তে মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন আদানি ছিলেন বিশ্বের সম্পদশালী তালিকায় ৬২৯তম স্থানে। ২০২২-এর শেষে, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের আগে আদানি চলে গিয়েছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। 
আদানি: মোদী সরকারে উপকৃত 
মোদী ও আদানির মধ্যে দীর্ঘ ও ঘনিষ্ঠতম সম্পর্ক বিশদে বলার দরকার পড়ে না। বিদ্যুৎ প্রকল্প, বন্দর, বিমানবন্দর হস্তান্তর করিয়ে কীভাবে আদানিকে ভারতীয় কর্পোরেট মহলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুখ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে তার যথেষ্ট নথি রয়েছে। 
সম্প্রতি গ্রিসের ‘সিটি টাইমস’-এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে মোদী তাঁর গ্রিস সফরে পিরাউস বন্দর সম্পর্কে বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন। মোদী বলেছেন, এই বন্দর ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভারতের প্রবেশদ্বার হতে পারে। এই বন্দরটি সম্পর্কে গৌতম আদানির বিশেষ স্বার্থ ও আগ্রহ রয়েছে। 
মোদী ও আদানির উত্থান সংযুক্ত যমজের মতো। একজনকে বাদ দিয়ে আরেকজনের চলে না। হিন্ডেনবার্গ ও ওসিসিআরপি রিপোর্ট পদক্ষেপ নেবার মতো স্পষ্ট তথ্য দিয়েছে। 
আদানির নিয়ম লঙ্ঘনকে আড়াল করার ব্যাপারে সম্ভাব্য যোগসাজশের প্রমাণ মিলছে বলেই কোনও সরকারি সংস্থা এই তদন্ত বা মামলা করতে পারে না। সুতরাং যারা সংবিধান ও বিধিব্দ্ধ প্রক্রিয়াকে রক্ষা করতে চায় এমন সমস্ত সুবিবেচক রাজনৈতিক শক্তির উচিত সমস্বরে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের দাবি তোলা। দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায়, আমাদের মূলধনী বাজারের সততা বজায় রাখতে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ বাগাড়ম্বরে আর জনগণের মন ভরবে না।

Comments :0

Login to leave a comment