POST EDITORIAL: 18 OCTOBER

১৬ অক্টোবর বাংলার রাখিবন্ধন দিবসের ইতিহাস

রাজ্য উত্তর সম্পাদকীয়​

অনুপ সরকার
১৭৫৭ সালে বাংলায় পলাশীর প্রান্তরে শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দোলাকে পরাস্ত করে কোম্পানি শাসনের সূচনা। আবার, ঠিক একশো বছর পরে ১৮৫৭ সিপাহী বিদ্রোহ তথা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রভাবে ব্রিটিশ-বিরোধী জাতীয়তাবোধের সূচনা। ব্রিটিশ শাসন, শোষণ এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাঙালিরাই প্রথম রুখে দাঁড়ায়, শুধু কলমে নয় অস্ত্র হাতেও। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে আক্রমণ করার শপথ নিয়ে বাঙালি সমাজ ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশে জাতীয়তাবাদের উত্থানে ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বঙ্গ সমাজের প্রাধান্যকে দুর্বল করার লক্ষ্যে বঙ্গীয় আইন পরিষদের বিধি পরিবর্তনে বঙ্গ প্রদেশকে দ্বিখণ্ডিত করার সলতে পাকাতে শুরু করে ব্রিটিশ শাসক। বিভাজনের শাসনের (ডিভাইড অ্যান্ড রুল) নীতি প্রয়োগে ধর্মীয় বিভাজন ও সাম্প্রদায়িক উসকানি ছিল তাদের হাতিয়ার; আর নেতৃত্বে চরম ভারত বিদ্বেষী লর্ড কার্জন। অবশ্য জনসমক্ষে প্রচার ছিল প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে বঙ্গ প্রদেশকে বিভক্ত করার পরিকল্পনার কথা। ১৯০৩ সালে লর্ড কার্জনের বঙ্গ পরিকল্পনায় সৃষ্টি হয় প্রবল গণ অসন্তোষ। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকল বাঙালি পরিকল্পনার বিরোধিতা করেন। কিন্তু নিজেদের শাসন ও শোষণ বজায় রাখার তীব্র লালসায় বাংলা ভাগের জঘন্য পরিকল্পনা রূপায়ণে, বাংলাভাষীদের মধ্যে বিভাজনের উদ্দেশ্যে তিনি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ম‌য়মনসিংহের মতন মুসলিম নিবিড় জেলাগুলিতে গিয়ে বঙ্গভঙ্গের সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে জনমত গঠনে উদ্যোগী হয়েছিলেন এবং বিভক্তির বিষয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বক্তৃতা করেন। প্রশাসনিক প্রয়োজনের ছলনার আশ্রয়ে ধর্মীয় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজনের জঘন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ১৯০৫ সালে ১৬ অক্টোবর বাংলা ভাগ হয়; গঠিত হয় ‘আসাম ও পূর্ববঙ্গ প্রদেশ’।
বাঙালি সমাজ ও জনমতকে উপেক্ষা করে, ব্রিটিশ শাসক যে বিষবৃক্ষের চারা এদেশে পুঁতে ছিল তার সুদূরপ্রসারী ফল সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। এ শুধু রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক বিচ্ছেদ ছিল না, সাংস্কৃতিক বিচ্ছেদ ঘটানোও ছিল বঙ্গভঙ্গের অন্যতম উদ্দেশ্য; এর দ্বারা সাম্প্রদায়িকতার চিরস্থায়ী প্রভাব সমাজে প্রতিষ্ঠা পাবে। দেশের মাটিতে মহীরূহ আকারে বিকশিত হবে। দেশের জাতীয়তাবাদকে ধর্মীয় বিভাজনের মাধ্যমে দুর্বল করার বিরুদ্ধে তিনি সর্বশক্তি নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলায় সচেষ্ট হলেন। এই জঘন্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ১৬ অক্টোবর, ১৯০৫-কেই বেছে নিলেন ধর্মীয় সম্প্রীতি অটুট রাখার মন্ত্রে সমগ্র সমাজ আত্তীকরণে। কবিগুরু লিখলেন — ‘ঈশ্বর যে বাঙালিকে বিচ্ছিন্ন করেন নাই তাহাই বিশেষরূপে স্মরণ এবং প্রচার করার জন্য সেইদিনকে আমরা ভাই এক ঠাঁই’। তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘আজ হইতে বাংলাদেশের ঘরের মিলন এবং দেশের মিলন যেন এক উৎসবের মধ্যে আসিয়া সঙ্গত হয়। আজ হইতে প্রতি বৎসর এই দিনকে আমাদের জাতীয় সম্মিলনের এক মহাদিন বলিায়া গণ্য করিব।’’ সর্বনাশা ব্রিটিশ ষড়যন্ত্রের প্রতিরোধে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যের আহ্বান পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘‘বঙ্গচ্ছেদে রাখিবন্ধন’’ শীর্ষক একটি ইশ্‌তেহার সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল; তাতে স্বাক্ষরকারী ছিলেন কবিগুরু নিজে, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, ভূপেন্দ্রনাথ বসু, হীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও বিপিনচন্দ্র পাল। শুধু এঁরাই নয়, স্যার আব্দুল হালিম গজনবী, আব্দুল রসুল, বাবা কুয়ার সিং প্রমুখ বহু বিশিষ্ট সংখ্যালঘু নেতা ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নিতে আহ্বান জানান। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের আবহে সর্ব প্রথম স্বরাজের দাবি উত্থাপিত হয়; স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্যে সংযুক্ত হলো নতুন এক মাত্রা।
১৬ অক্টোবর— এই দিনটিকে স্মরণ করে কবিগুরু লিখলেন: বাংলার মাটি জল/বাংলার বায়ু বাংলার ফল/পূর্ণ হউক পূর্ণ হউক। সৌভ্রাতৃত্বের প্রতীক হিসাবে ও হিন্দু-মুসলিম ঐক্য গড়ে তুলতে কবিগুরুর আহ্বানে ওই দিনে সূচিত হলো রাখিবন্ধন। সদলবলে সকালে গঙ্গাস্নান করে গঙ্গাতীরে বিশিষ্ট গণমান্য ব্যক্তি এবং হিন্দু-মুসলমান সহ সকলে হাতে রাখি পরিয়ে দিলেন। তারপর সিক্ত বসনে রাস্তার দু’পাশে সকল মানুষকে রাখি পড়াতে পড়াতে হাজির হলেন নাখোদা মসজিদে; খবর পেয়ে চলে এলেন ইমাম। একে অপরে আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়ে হাতে পড়ে নিলেন সম্প্রীতির রাখি; রচিত হলো মহামিলনের অপূর্ব দৃশ্য। সেইদিন শুধু কলকাতা নয়, বাংলার সর্বত্র পালিত হয়েছিল রাখি বন্ধন। ব্রিটিশ শাসনের মূলে সপাটে আঘাত করে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অগণিত মানুষের উৎসাহ ও ভালোবাসা নিয়ে তিনি গড়ে তুললেন এক অনন্য রাখিবন্ধন উৎসব; সম্প্রীতির বন্ধন। আহ্বান করলেন— ‘‘ঐ দিনকেই প্রতি বৎসর বাঙালির রাখি বন্ধনের দিন বলিয়া স্মরণীয় করিয়া রাখিব। আশা করি বঙ্গে জমিদার সম্প্রদায় প্রজাগণকে, গ্রামের প্রধানের গ্রামবাসীদিগকে, বিদ্যালয়ের ছাত্রগণ তাহাদের প্রতিবাসীদিগকে এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য বুঝাইয়া দিয়া, যাহাতে প্রত্যেক গ্রামে জাতীয় ঐক্যবন্ধনোৎসব সুচারুরূপে সম্পাদিত হয় অবিলম্বে তাহার আয়োজন করিবেন।’’ ওইদিন কলকাতা জুড়ে একাধিক মিছিল, সভা ও সমাবেশের মধ্যে জোড়াসাঁকো থে‍‌কে পায়ে হেঁ‍‌টে রবীন্দ্রনাথ এলেন আপার সার্কুলার রোড (এপিসি রোড) ফেডারেশন হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে। এরপর সেই দিনের সন্ধ্যায় উপস্থিত হলেন বাগবাজারে পশুপতি নাথের বাড়িতে। পথে চলতে চলতে গাইলেন— ‘‘ওদের বাঁধন যতই শক্ত হবে— মোদের ততই বাঁধা টুটবে’’। সেদিনের সেই উত্তাল হাওয়া মানুষের ঐক্যবদ্ধ রূপ ব্রিটিশ সরকারকে বাধ্য করেছিল ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ আইন প্রত্যাহারে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ পরাধীনতার কবল থেকে মুক্ত হওয়ার মূল্য স্বরূপ মেনে নিতে হয়েছিল দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ বিভাজন। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গকে রোখা সম্ভব হলেও, দেশ বিভাজনের নীতি অনুসারে নতুন ভৌগোলিক অবস্থানে বাংলার বিভাজন আমাদের মেনে নিতে হয়। পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত হওয়ার আনন্দের মাঝে দেশ বিভাজনের বিষাদে ভারাক্রান্ত হয়েই পথ চলা শুরু। বিশেষ করে বাংলাভাষী মানুষের কাছে এই বিচ্ছেদ ছিল অপরিসীম বেদনা ও দুঃখের। তথাপি স্বাধীনতা আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে ওঠা জাতীয়তাবোধ, সেখান থেকে উদ্ভূত দেশের জাতীয়তাবাদী চরিত্রকে সুদৃঢ় করার শপথে দেশ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। ১৯৪৭সালে এদেশ ছেড়ে গেলেও ব্রিটিশ শক্তির হাতে যে বিরোধ বা ব্যাধির জন্ম, তা নির্মূল করা ছিল স্বাধীন দে‍‌শের সামনে এক গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। ধর্মীয় জিঘাংসা ও বিবাদে ক্ষতিগ্রস্ত দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মনে সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্বের আবহ নির্মাণে জাতীয়তাবোধকে রক্ষা করা এবং তা নিবিড় আত্মানুশীলনের মাধ্যমেই ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন সম্ভব— এটাই ছিল অন্যতম পথনির্দেশ। কিন্তু ইংরেজরা এদেশ ছেড়ে গেলেও রয়ে গিয়েছে বিভেদপন্থী, সঙ্কীর্ণতাবাদী, সাম্প্রদায়িক শক্তি; যা কবিগুরু অনেক আগেই অনুধাবন করেছিলেন। জাতিতে জাতিতে, ধর্মের সঙ্গে ধর্মের, ভাষার সঙ্গে ভাষার বিরোধ বাঁধিয়ে নিজেদের লক্ষ্য পূরণে সক্রিয় এই শক্তি। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রাখার সুযোগ দিলে ব্যাহত হবে শাসন শোষণের কাজ; সমবেত আপত্তি ও বিরোধিতায় নিজেদের স্বার্থ অর্থাৎ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, দেশের শ্রমশক্তি, জ্ঞান ভাণ্ডারের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ও তদানুযায়ী রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জনের রাস্তা বাধাপ্রাপ্ত হবে। সুতরাং বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য— যা আমাদের জাতীয়তাবাদের মূল মন্ত্র তাকে আঘাত করার সংস্কৃতিকে লালন পালন করাই এই অশুভ শক্তির লক্ষ্য।
মনে হতে পারে, ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের আজ কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই— সেদিনের সাম্রাজ্যবাদী বিদেশি শাসক নেই, দেশ ভাগের চক্রান্ত নেই। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ‘‘আজাদী অমৃত উৎসব’’-এর আয়োজনে দেশ এখন বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে— এই ঘোষণার পাশাপাশি কেন স্বদেশি শাসক দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে উগ্র সঙ্কীর্ণতাবাদী, জাত্যভিমানে বিকারগ্রস্ত এক সমাজকে? ‘আজাদী অমৃত উৎসব’ পালনের আবহে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত পরিমণ্ডল সমাজে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের জন্মদিবস হিসাবে কেন মহামান্য রাজ্যপাল চিহ্নিত করলেন ‘২০জুন’ দিনটিকে? এইসব প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই নিহিত আছে অতীতের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রাসঙ্গিকতা। ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইনসভায় বঙ্গ বিভাজনে প্রস্তাব ব্রিটিশ শাসকদের কৌশল ও ক্ষমতা লোভী রাজনৈতিক নেতৃত্বের অদূরদর্শিতায় অনুমোদিত হয়। সে এক অন্য ইতিহাস; অবশ্যই সেই ইতিহাস চর্চায় অনীহা থাকা উচিত নয়। মনে রাখা দরকার ইতিহাস চর্চা কোনও অবস্থাতেই একতরফা হয় না; বিকৃত ইতিহাস ধ্বংসের রাস্তা নির্মাণ করে, সৃষ্টির বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘ ৭৫ বছর পর পশ্চিমবঙ্গের জন্ম হিসাবে ওই দিনটিকে বাছাই করার পেছনে লুকিয়ে আছে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চিন্তা। দেশ বিভাজন ও বঙ্গভঙ্গের দায় শুধুমাত্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা, আসল সত্যকে আত্মসাৎ করার প্রচেষ্টায় এক ভয়ানক সর্বনাশা পরিস্থিতি তৈরি করবে। পশ্চিমবঙ্গের জন্মদিন পালনের মাধ্যমে ধর্মীয় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক জিগির তোলার অপচেষ্টা মাত্র; আর সেই অপচেষ্টায় হাওয়া দিতে হাজির রাজ্যের কিছু বুদ্ধিজীবি মানুষ। তাঁদের অনুমোদনে রাজ্যপালের পালটা হিসাবে রাজ্য সরকার‍‌ ঘোষণা করেছে— পশ্চিমবঙ্গের জন্মদিন হবে পয়লা বৈশাখ। শুরু রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে নতুন এক খেলা। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে পয়লা বৈশাখ দিনটি বিশেষ উদ্‌যাপনের; নতুন বর্ষকে আনন্দ উৎসবের সাথে বরণ করার দিন। এর সাথে রাজ্যের জন্মদিন পালনের সম্পর্ক কী? একদল ইতিহাসকে বিকৃত করে তো, অন্য দল ভ্রান্ত ইতিহাস বানায়। আসলে, এই দু’ই পক্ষ দেশ ভাগে সৃষ্ট ক্ষতর নিরাময়ের পরিবর্তে টিকিয়ে রাখতে চায়। পশ্চিমবঙ্গ সর্বদাই ভারত রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল এবং সেই অবস্থাতেই আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে; তাই নতুন করে এই রাজ্যের জন্মদিন পালন, দূরভিসন্ধিমূলক ধর্মীয় জিগির সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়ার নামান্তর।
১৯০৫ সালের সেদিন যে ঐক্যসূত্রের ও সম্প্রীতির সন্ধানে মহান মানবতাবাদী কবি নিজের স্বপ্নচূড়া থেকে, ভাবজগৎ থেকে জনতার মুখরিত সখ্যে নেমে এসেছিলেন সেই ঐক্য এবং সম্প্রীতি রক্ষার প্রয়োজন সেদিনের চেয়েও আজ আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।
এরই প্রেক্ষাপট ’১৬ অক্টোবর’ রাখিবন্ধন উৎসবের প্রাসঙ্গিকতাকে খুঁজতে হবে। আসলে ‘রাখি’ একটা প্রতীক মাত্র— সম্প্রীতির প্রতীক। কবিগুরুর ঐক্যের আহ্বানে সাড়া দিয়ে একদিন যেমন ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতি ব্রিটিশ শক্তিকে মাথানত করাতে সক্ষম হয়েছিল, আজ আমরাও তেমনি হৃদয়ের রাখিবন্ধনের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ শক্তিকে পরাস্ত করব। গড়ে তুলব সম্প্রীতির পরিবেশ।

Comments :0

Login to leave a comment