‘‘যেখানে লুট হবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়। কোনোমতেই পোলিং এজেন্ট ফাঁকা রাখা যাবে না। প্রতি বুথে বুথরক্ষার জন্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী তৈরি রাখতে হবে। কোনও জায়গাতে আমাদের ছাড়ার কোনও গল্প নেই।’’
সোমবার ভোট জেলার দুই কেন্দ্র আসানসোল এবং বর্ধমান-দুর্গাপুরে। তার আগে এমনই প্রস্তুতির বার্তা দিচ্ছেন সিপিআই(এম) পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি। আসানসোলের সব ক’টি বিধানসভা কেন্দ্রই এই জেলায়। বর্ধমান দুর্গাপুরের দু’টি বিধানসভাও রয়েছে এই কেন্দ্রে।
চ্যাটার্জি বলছেন, ‘‘লড়াই করব। লড়াই করার প্রস্তুতি। বিনা যুদ্ধে জমি ছাড়া হচ্ছে না। প্রচার পর্বেই দেখা গিয়েছে কর্মীদের উৎসাহ। প্রচারের কোনও লিফলটে বা পোস্টার কোনও পার্টির অফিসে পড়ে থাকেনি। কোলিয়ারি মজদুর সভা প্রার্থী জাহানারা খানের সমর্থনে লিফলটে প্রকাশ করতে। কয়লা শ্রমিক মহল্লায় তা ছড়িয়েও দেয়। এই প্রচারের প্রভাব রয়েছে লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক এলাকায়।’’
প্রচারের অভিমুখ জানিয়ে চ্যাটার্জি বলছেন, ‘‘তৃণমূল পরিচালিত হচ্ছে হাতেগোনা পনের-বিশজন চোরের মাধ্যমে। আর বিজেপি সারা দেশে মেহনতী জনতার ওপর সবচেয়ে বড় আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। দুই শক্তিকেই হারাতে হবে। একজনকে দিয়ে অন্যজনকে জব্দ করার প্রশ্নই নেই। সেই মনোভাব নিয়ে প্রচার চালিয়েছে সিপিআই(এম)।’’
Comments :0