Landslide

টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস

রাজ্য জেলা

Landslide

 

বিশ্বনাথ সিংহ - রায়গঞ্জ

আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস ছিল যে, উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভারী বৃষ্টি হবে। শুক্রবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টি। মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি সহ একাধিক জেলায় প্রবল বৃষ্টি চলছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে বৃষ্টির কিছু পরিমাণ কমবে সোমবার থেকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে ধূপগুড়িতে। সেই বৃষ্টি এখনো চলছে। কখনো ভারী কখনো মাঝারি। দার্জিলিং এবং ভুটান পাহাড়ে অবিরত বৃষ্টির ফলে পাহাড় থেকে নেমে আসা সব নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ নদী পারের বসবাস করা গ্রামের মানুষের। এখন পর্যন্ত এই বৃষ্টির দরুন কৃষক এবং চা বাগান কতৃপক্ষের কাছে খুশির খবর বলেই জানাচ্ছেন অনেকে। জমিতে লাগানো ধানের ফলন ভালো হবে এই বৃষ্টির জলে। অন্যদিকে চা গাছের বৃদ্ধি নতুন চা পাতা গজিয়ে ওঠার সহায়ক হবে এই বৃষ্টি। কিন্তু  চিন্তার বিষয় অতিবৃষ্টিতে আবার সব ক্ষতি না হয়ে যায়। ধূপগুড়ি রেল স্টেশন মোর থেকে ওভার ব্রিজের সামনে পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা। বড় বড়  খানা খন্দ হয়ে জলে ভরে থাকায় গাড়ি চালকদের বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।


 

মালদহ, উত্তর দিনাজপুর জেলার একাধিক জায়গা জলমগ্ন। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত। পথ ঘাট প্রায় বন্ধ। একাধিক জায়গায় গাছ বিদ্যুতের খুটি উপরে পড়ে রয়েছে রাস্তায়। লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে রায়গঞ্জ বালুরঘাট রাজ্য সড়কের বিভিন্ন এলাকায় জল উঠেছে। দুই দিনাজপুর জেলার মাটির বাড়িতে ফাটল। এবারের মরশুমে এত প্রবল বৃষ্টি যার জেরে বন্ধ বেশ কিছু রুটে যান চলাচল। দক্ষিণ দিনাজপুরের বেহাল রাস্তায় দিয়ে যাতায়াত করতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এর জন্য নিকাশি ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন স্থানীয় মানুষ। বেহাল নিকাশি ব্যাবস্থার কারণে জল নামতে দেরী হচ্ছে। বিভিন্ন নদীতে জল বাড়তে শুরু করেছে পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির কারণে। শুক্রবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ জেলা সহ প্রতিবেশী রাজ্য বিহারেও ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে এই প্রথম একরাতে ২০৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে বজ্র বিদ্যুৎ চলছে। রায়গঞ্জ ইসলামপুর, ডালখোলা ইটাহারে বহু বাড়িতে জল ঢুকেছে। 
ভারী বৃষ্টিতে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে। জলে তলিয়ে গেছে কালিঝোড়া ও শ্বেতিঝোরায় মাঝে রাস্তার একটি অংশ। রাস্তাটির জরুরি মেরামতের জন্য জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ছোট যানবাহনগুলি সিকিম থেকে শিলিগুড়ি হয়ে ডুবার্সের যে কোনও রুটে সুবিধামত চলাচল করতে পারবে রাস্তা মেরামত হওয়া পর্যন্ত। তবে সিকিম থেকে শিলিগুড়িগামী ভারী যানবাহন গুলি শুধুমাত্র সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে চলাচল করতে পারবে।
শনিবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল সহ প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গভীর নিম্নচাপের জেরে উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুর, দার্জিলিং,কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে রবিবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।

Comments :0

Login to leave a comment