১৪ জুলাই আনন্দে হাত আকাশে তুলেছিলেন তাঁরা। চন্দ্রযান~৩ উড়ে গিয়েছে মহাকাশে। উড়ানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম লঞ্চ প্যাড তাঁদেরই তৈরি। তবু গত সতেরো মাস বেতন পাননি তাঁরা। রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থা হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। রাঁচির এই সংস্থা কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রকের অধীনে। দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় ফেলে রাখা হয়েছে এই সংস্থাকে। যার কাজের গুণমান নিয়ে প্রশংসা রয়েছে সব স্তরে। প্রযুক্তিবিদ, গবেষক অন্যান্য কর্মী কেউই বেতন পাচ্ছেন না গত ১৭ মাস।
মন্ত্রকের কাছে এক হাজার কোটি টাকার কার্যকরী মূলধন চেয়েছিল সংস্থার কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রক সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, কোন সহায়তা আপাতত দেওয়া যাবে না। ঋণের ভার চেপে রয়েছে মাথার উপর। এই অবস্থায় বেতন দেওয়ার উপায় নেই, বলছে সংস্থার কর্তৃপক্ষ। রাঁচির হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন দেখাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির 'মেক ইন ইন্ডিয়া' স্লোগান কতটা ফাঁপা।
দেশের অন্যতম সেরা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে শুকিয়ে মারা হচ্ছে কিভাবে, তাও দেখাবে।গত আড়াই বছর ধরে হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনে কোন ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্থায়ী ভাবে নিয়োগ করা হয়নি, নিয়োগ করেনি কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রক।
কংগ্রেসের দাবি তাদের তরফে বিষয়টি কেন্দ্রের কাছে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় মূলধন দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের সরকারে শরিক কংগ্রেস। কংগ্রেস বলেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশের সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার প্রতি এমন অবহেলার মনোভাব নিয়েই চলছে।
চন্দ্রযানের লঞ্চ প্যাড সময়ের আগেই , গত বছরের ডিসেম্বরে, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর হাতে তুলে দিয়েছিলেন হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের প্রযুক্তিবিদরা। কেবল লঞ্চপ্যাড নয়, চন্দ্রযান~৩ এর অন্যান্য একাধিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছেন তাঁরা। বজায় রেখেছেন গুণমান। সরবরাহ করেছেন সময়ের আগে, ১৭ মাস বেতন না পাওয়ার যন্ত্রণা চেপে রেখে কাজ করে গিয়েছেন। চন্দ্রযানের সাফল্য নিয়ে কেন্দ্রের সরকার মুখর। রাঁচির এই সংস্থার কর্মীরা বেতন পাবেন কবে, প্রশ্ন তুলছে দেশের মানুষ।
Comments :0