DELHI HIT AND RUN

গাড়ির নিচে আটকে মানুষ, বলা সত্ত্বেও থামাতে বারণ

জাতীয়

DELHI HIT AND RUN

চালক বুঝছে চলন্ত গাড়ির নিচে কাউকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চার সঙ্গী তবু তাঁকেই বলেছেন চালিয়ে যেতে। প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তা এভাবেই হিঁচড়ে টেনে নেওয়া হয় সেই তরুণীকে। দিল্লি পুলিশের কাছে জেরায় এমনই দাবি করেছে চালক দীপক খান্না। 

মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ যদিও দাবি করেছে যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ধর্ষণের প্রমাণ নেই। পরিবার এমন অভিযোগ তুলেছিল। নির্মম ঘটনাকে স্রেফ গাড়ি দুর্ঘটনা হিসেবে দেখছেন না দিল্লিবাসীর বড় অংশ। একটি নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে বহু জায়গায়। 

বড় অংশই মনে করছেন যে দীর্ঘ সময় নিষ্ক্রিয় থাকার পর গণক্ষোভের জেরেই খানিক নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে দিল্লি পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন এই বাহিনী জেরা করছে গাড়ির সওয়ার অভিযুক্ত পাঁচজনকে। পুলিশ সূত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে যে চালক দীপক খান্না বুঝেছিল গাড়ির নিচে কাউকে হিঁচড়ে নেওয়া হচ্ছে। 

স্কুটিতে করে বন্ধুকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই তরুণী। রাত দু’টো নাগাদ পিছন থেকে ধাক্কা মারে চারচাকার গাড়িটি। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতেরা প্রত্যেকে স্বীকার করেছে যে তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। গাড়িতে ছিল অমিত খান্না, মনোজ মিত্তল, কৃষণ এবং মিঠুন। তারা চালিয়ে যেতে বলে। এভাবেই সুলতানপুরি থেকে কানঝাওয়ালা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার গাড়ির নিচে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণিকে। 

‘আপ’-র অভিযোগ ধৃত মনোজ মিত্তল বিজেপি নেতা। সে কারণে প্রথমে অভিযুক্তদের পরিচয় গোপন রাখার চেষ্টা করছিল পুলিশ। 

 পুলিশের সূত্র জানাচ্ছে, জেরায় চালক বলেছে যে গাড়ি বাঁক নেওয়ার সময় তরুণীর হাত দেখতে পায় মিঠুন। এরপর গাড়ি থামিয়ে তারা পালিয়ে যায়। 

 

Comments :0

Login to leave a comment