Suprime Court

পহেলগাম সংক্রান্ত মামলা শুনালো না শীর্ষ আদালত

জাতীয়


 

পহেলগাম সন্ত্রাসবাদী হামলার তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে।  বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলা খারিজ করে দিল। শুধু তাই নয়, বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি এনকে সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীদের তিরস্কার করে প্রশ্ন করে, ''তারা কি নিরাপত্তা বাহিনীকে নিরুৎসাহিত করতে চান।

বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, "এই সময়ে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একজোট হওয়ার সময় এসেছে। দেশের প্রতি আপনাদের কিছু কর্তব্য আছে। এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আগে দায়িত্বশীল হোন। দেশের প্রতিও আপনার কিছু দায়িত্ব আছে। এই সঙ্কট ও সন্ধিক্ষণে এভাবেই সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছেন? আপনি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে তদন্ত করতে বলছেন। কবে থেকে অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা তদন্তে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন? আমাদের বলুন, কবে থেকে আমাদের তদন্তের এই দক্ষতার প্রয়োজন হয়েছে? আমরা বিচারের নিষ্পত্তি করি, তদন্ত নয়। আমাদের দিয়ে এমন কোনও আদেশ জারি করাবেন না।" এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টির সংবেদনশীলতা দেখুন"। মন্তব্য বিচারপতি সূর্য কান্তের।

গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই পর্যটক। তাঁদের মধ্যে তিনজন বাংলার বাসিন্দা। সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে আহত হয়েছেন ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন শবরি গুহ। তিনি কলকাতার বাসিন্দা। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হানায় বারবার রক্ত ঝরলেও একেবারে পর্যটকদের নিশানা করে গুলি সাম্প্রতিক অতীতে হয়নি। অনেক বড় নাশকতার পরিকল্পনা নিয়েই পহেলগামে হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা। আরও অনেক বাশি মানুষকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ছিল তারা। সেনাবাহিনী সূত্রে এমনটাই খবর। হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য তুলে রাখতে সন্ত্রাসবাদীদের শরীরে লাগানো ছিল গোপন ক্যামেরা। হামলার আগে পহেলগামে বৈসরন লাগোয়া গভীর জঙ্গে নিরাপদে লুকিয়ে থাকার জায়াগাও তারা তৈরি করেছিল সরকারি সূত্রে জানা গেছে। এই অঞ্চলে সেনাবহিনীর উপস্থিতি ছিলো না। সেই সুযোগে তারা অবাধে হামালা চালায়।


 

কাশ্মীরের তিন বাসিন্দা কাশ্মীরের ফতেহ কুমার সাহু, মহম্মদ জুনেইদ এবং ভিকি কুমার আবেদন জানিয়েছিলেন, যাতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে পহেলগাঁও হামলার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হয়। এছাড়াও কেন্দ্র, জম্মু-কাশ্মীর সরকার, সিআরপিএফ এবং এনআইএকে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিক যেন তারা কাশ্মীরের আমজনতাকে সুরক্ষিত রাখতে যথাযথ পরিকল্পনা তৈরি রাখেন। কিন্তু এদিন এই মামলা শুনল না সুপ্রিম কোর্ট।

Comments :0

Login to leave a comment