যাদবপুরে সিপিআই(এম) এজেন্ট এবং সমর্থকদের হুমকি দিতে গিয়ে প্রতিরোধের মুখে পড়ল। প্রতিবাদের মুখে পড়ল পুলিশও। পুলিশকে ঘিরে ধরে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনা কলকাতা কর্পোরেশনের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্র পল্লীর।
বৃহস্পতিবার রাতে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকদের হুমকি দেয় ও মারধর করে। রবীন্দ্রপল্লীর তিন জায়গায় এবং সংলগ্ন রায়পুর এলাকায় এমন হামলা চালানো হয়। বয়স্করা আহত হন। সিপিআই(এম)’র পোলিং এজেন্টদের আক্রমণের লক্ষ্য করেছে তৃণমূল। মহিলারাও বাদ পড়ছেন না। তেমন শুরু হয়েছে প্রতিরোধও।
খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে যান যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। তাঁকে দেখে এলাকাবাসীরা এগিয়ে আসেন। সবিস্তারে ঘটনা জানান। তাঁরা বলেন, পাটুলি থানাকে জানানো হলেও থানা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
কিছু পরেই থানার এক আধিকারিক রবীন্দ্রপল্লীতে পৌঁছান। হামলার সময়ে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। দীর্ঘ সময় এলাকায় আসেনি। ক্ষোভ তীব্র ছিল এলাকায়। পাটুলি থানার ওই আধিকারিককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।
একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও রুট মার্চ হয়নি। সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার না করার অভিযোগে সরব। দিল্লির ইশারায় তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতে নির্বাচন কমিশনকে ঠুঁটো রাখছে বিজেপি, এই অভিযোগও তুলেছে সিপিআই(এম)।
সিপিআই(এম) দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কানাই দেব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘সিপিআই(এম)’র এজেন্ট এবং জনতাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। আসলে ওরাই হারের ভয়ে ভুগছে। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ নেই। সজাগ রয়েছেন পার্টিকর্মীরা। সজাগ এই অঞ্চলের জনতা। মানুষ যাতে অবাধে ভোট দিতে পারেন তার জন্য আমরা তৈরি। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকার মানুষের প্রতিরোধের মুখে পড়ছে।’’
পাটুলি থানার ওসি এবং আইসি’র ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার সিইও দপ্তরে সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির প্রতিনিধিদল এই থানার ওসি’র ভূমিকার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।
দেব বলেছেন, ‘‘যে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন তৃণমূলের তল্পিবাহক হয়ে জনতার অভিযোগ সম্পর্কে নীরব থাকবেন, জনতা তাঁদের ক্ষমা করবেন না।’’
Comments :0