মালিকদের ঘরে মুনাফার পাহাড় জমছে। আর শ্রমিকদের ঘাড়ে বাড়তি কাজের বোঝা চাপানো হচ্ছে। প্রতিদিন বাগিচা শ্রমিকদের ওপর কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ জানালো নকশালবাড়ি চা বাগানের শ্রমিকেরা।
সোমবার সিআইটিইউ অনুমোদিত চিয়াকামান মজদুর ইউনিয়ন দার্জিলিং জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বাগানের শ্রমিকদের সাথে নিয়ে নকশালবাড়ি চা বাগানে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। কাজ বন্ধ করে দিয়ে এদিন বিক্ষোভে সামিল হন শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের ওপর বাড়তি কাজের বোঝা চাপিয়ে দেবার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শ্রমিকরা। জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বাগানে বাগানে একবেলা করেই কাজ হয়। সেই মতোই তাঁরা একবেলাই কাজ করবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের অভিযোগ, দিন দিন কাজের চাপ বাড়াচ্ছে বাগান কর্তৃপক্ষ।
চিয়াকামান মজদুর ইউনিয়নের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, "শ্রমিকদের ওপর কাজের বোঝা ক্রগাগত বাড়িয়েই চলেছে মালিক। একবেলার পরিবর্তে দুই বেলা কাজ করতে হবে বলে চাপের সৃষ্টি করা হচ্ছে। দস্তুর অনুযায়ী এই সময় ঠিকা অনুযায়ী যে সমস্ত কাজ হয় সেই কাজগুলো করবেন শ্রমিকরা। ঠিকা কাজেও বিকেল পর্যন্ত বসে থাকতে হবে। সেটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। শীতের সময়ে দুইবেলা কাজ কোথাও হয়না। দুই বেলা কাজের বোঝা চাপিয়ে দেবার চেষ্টা সর্বত্রই হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকদের প্রতিদিনের কাজের মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না। দূর্মূল্যের বাজারে আজও দৈনিক মজুরি ওই ২৫০টাকাই রয়েছে। অন্যদিকে মালিকদের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা মুনাফা হচ্ছে। পিএফ ও গ্রাচ্যুইটির টাকা ঠিকমতো জমা দেওয়া হচ্ছে না সহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শ্রমিক একতা বজায় রেখে কোনভাবেই যাতে কাজের বোঝা বাড়ানো না হয় সেই দাবি জানান তিনি।
এদিনের শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে নকশালবাড়ি চা বাগানের ম্যানেজার কৌশিক দাস জানান, "বাগান কর্তৃপক্ষ বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই আর্থিক সঙ্কটে রয়েছে। বাগানের অবস্থা খুবই করুন। বাগান চালানো দিন দিন খুবই মুশকিল হয়ে পড়ছে। যার যা কাজ তাকে সেই কাজই করতে বলা হয়েছে। যেখানে টাস্ক নেই সেখানে শ্রমিকদের আট ঘন্টা কাজ করতে বলা হয়েছে।"
Tea workers protest
নকশালবাড়িতে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ
×
Comments :0