BRIGADE

ব্রিগেডের মাঠে বসে সমাবেশের কথা বললেন নেতৃবৃন্দ

রাজ্য ব্রিগেড

শনিবার সন্ধ্যায় ব্রিগেডের মাঠে নেতৃবৃন্দ।

গোসাবা ব্লকের লাহিড়ীপুর গ্রাম। ২৭জন মাত্র যুবক বাড়িতে রয়েছেন। কাজের খোঁজে বাকিরা বাইরে। 
চালের দাম হুহু করে বাড়ছে। কিন্তু কৃষক ধানের দাম পাচ্ছে না। 
বাংলায় গরিব মাঝারি কৃষক জমি হারাচ্ছেন। উৎপাদন খরচ বাড়ছে। অসংগঠিত শ্রমিক হয়ে কাজ করতে হচ্ছে সব হারিয়ে। বাইরের রাজ্যে যাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে।  
রবিবার ব্রিগেড। শনিবার সন্ধ্যায় মাঠের চূড়ান্ত প্রস্তুতি দেখতে এসেছিলেন শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর বস্তি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। মাঠে বসেই কথা হলো তাঁদের সঙ্গে। ছিলেন সারাভারত কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার, সংগঠনের নেতা পরেশ পাল, সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সভাপতি সুভাষ মুখার্জি , খেতমজুর ইনিয়নের রাজ্য সভাপতি তুষার ঘোষ ও সংগঠনের নেতা অমিয় পাত্র। তাঁরা জানাচ্ছেন ব্রিগেড সমাবেশ সংগঠিত করার অভিজ্ঞতা।

তাঁরা বলেছেন যে বাংলার ৭৫ শতাংশ কেন্দ্র এবং রাজ্যের দুই সরকারের নীতিতে বিপন্ন।  মজুরি বাড়ছে না, কমে যাচ্ছে। কর্পোরেটের সম্পদ বৃদ্ধি আর রাজ্যে তোলাবাজি চালানোর রাজনীতি চলছে। তার স্বার্থেই চলছে বিভাজন। কাল ব্রিগেডের পর গরিব মানুষের আন্দোলন আরও এগবে। 
শ্রমিক-কৃষকের যৌথ সমাবেশ ঐতিহাসিক ঘটনা, আগালীকাল ঘটতে যাচ্ছে। চল্লিশের দশকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল তেভাগার আন্দোলন। সেই লড়াই গড়ে তুলতে পারলে বিভাজনের রাজনীতিকে স্তব্ধ করা যায়। 
ভয়ানক লড়াই চলছে। রাষ্ট্রে প্রতিক্রিয়াশীল দক্ষিণপন্থী শক্তি আর ধান্দার ধনতন্ত্রের মেলবন্ধন চলছে। সব কিছু লুটে খাচ্ছে। শ্রমিকরা লড়াই করে চলেছে। বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে চলছে লড়াই। কোলিয়ারি, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে লড়াই হচ্ছে। মোদীর সরকরের দোসর মমতার সরকার ধান্দার ধনতন্ত্রের দালালি করতে সব অপকৌশল করছে যাতে মেহনতীর ঐক্য গড়া না যায়। কালকের ব্রিগেড হচ্ছে বেশিরভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আক্রান্ত মানুষের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা। যার অন্যতম শ্রমকোড বাতিলের লড়াই।

 

Comments :0

Login to leave a comment