Top Posts Vacant Central Agencies

আধিকারিক স্তরে বহু পদ ফাঁকা সিবিআই, আইবি’র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাতেও

জাতীয়

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায় ফাঁকা উঁচু স্তরের প্রায় অর্ধেক পদ। প্রায় একই অবস্থা সিবিআই’র। কেবল দুই তদন্ত সংস্থাই নয়, কেন্দ্রীয় পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীতে ফাঁকা ৩৩ শতাংশ আধিকারিকের পদ। 

সশস্ত্র বাহিনী এবং গোয়েন্দা ও তদন্তের দায়িত্বে থাকা এই সংস্থাগুলিতে শীর্ষ পদে নিয়োগ করা হয় আইপিএস পদমর্যাদার আধিকারিকদের। তদন্ত এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে এই আধিকারিকরা জরুরি, মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

কেন্দ্রীয় সরকারি বহু পদই শূন্য। তার বাইরে, রেল বা ব্যাঙ্কে নিয়োগও নিয়মিত হচ্ছে না। অতীতেও এই অভিযোগ ছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ৯ বছরে বিজেপি সরকারের মেয়াদে এই প্রশ্ন কয়েকগুন জোরালো হয়েছে। সংসদেই কেন্দ্র জানিয়েছিল যে প্রায় দশ লক্ষ শূন্য পদ রয়েছে বিভিন্ন দপ্তরে।

সংবাদ চ্যানেলটির এই প্রতিবেদন অনুযায়ী গোয়েন্দা এবং পুলিশ বাহিনীতেও দেদার শূন্য পদ রয়েছে। কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কয়েকজন যদিও এই চ্যানেলকে জানিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় দায়িত্ব নিতে আইপিএস-দের অনীহা রয়েছে। সেটি একটি কারণ হতে পারে। 

প্রতিবেদনে দাবি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা আইবি’তে মোট ১৯৪ পদের মধ্যে ৮২টি পদে কোনও আইপিএস আধিকারিক নেই। সিবিআই’র মোট ১২৮টি পদের মধ্যে আইপিএস নেই ৪৯টি পদে। তার মধ্যে বেশিরভাগই ইনস্পেক্টর জেনারেল, ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল এবং সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশের মতো উঁচু পদ। গুরুত্বপূর্ণ তদন্তে এমন পদমর্যাদার আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে দেখা গিয়েছে আদালতকে। 

সেন্ট্রাল পুলিশ অর্গানাইজেশন বা কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন আইপিএস আধিকারিক পদের ৩৩ শতাংশ বা এক তৃতীয়াংশ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। 

মোদী সরকার এবং বিজেপি বরাবর দেশের সুরক্ষাকে মজবুত করার প্রচার জোরালো করেছে। বিভিন্ন নির্বাচনে সুরক্ষা নিয়েই বিরোধীদের আক্রমণে ব্যস্তও থাকেন বিজেপি নেতারা। দেখা যাচ্ছে, সরকার চালানোর বেলায় প্রয়োজনীয় স্তরে আধিকারিক নিয়োগের মতো জরুরি কাজে গুরুতর গলদ তৈরি হয়েছে এই সরকারের সময়েই।

Comments :0

Login to leave a comment