ঈদের দিনেও গাজায় ইজরায়েল হামলা বন্ধ হলো না। গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণে রাফা এবং মধ্য অঞ্চলের নুসেইরত ক্যাম্পে ইজরায়েল হামলা চালালো। একাধিক প্রাণহানির আশঙ্কা করছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। হামলার মুখে ফের পড়েছেন ত্রাণকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার ইউনিসেফের ত্রাণ কনভয়ের ওপর গুলি চালায় ইজরায়েলের সেনা। এর আগে ইজরায়েলের হামলায় নিহত হন আন্তর্জাতিক স্তরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ত্রাণকর্মীরা।
উত্তর এবং মধ্য গাজায় ইজরায়লের হামলায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। অক্টোবর থেকে ইজরায়েলের লাগাতার হামলায় অন্তত ৩৪ হাজার প্যালেস্তানীয় প্রাণ হারিয়েছেন।
ইজরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান ইসমাইল হানিয়ের তিন সন্তান। নিহত হয়েছেন তাঁর পৌত্ররা। গোটা বিশ্বে তা নিয়ে আলোড়ন পড়েছে। হানিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে বলেছেন যে তাঁর সন্তানদের হত্যা করে হামাসের অবস্থান বদলানো যাবে না। প্যালেস্তাইনের পূর্ণ স্বাধীনতার জন্যই লড়ছে হামাস। সে লড়াই চলবে।
হামাস নেতার সন্তান এবং চার পৌত্রকে হত্যার দায় নিজের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, সেনা তাঁকে না জানিয়েই এই অপারেশন চালিয়েছে। ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যমে সরকারি স্তর থেকে দাবি, নেতানিয়াহু বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওভ গ্যালান্ট, কারও সঙ্গেই কোনও আলোচনা না করে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ইসমাইল হানিয়ের তিন সন্তান আমির, মহম্মদ এবল হাজিম হানিয়েকের লষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে তারা হামাসের যোদ্ধা বলে। ইসমাইল হানিয়ের সন্তান বলে নয়।
ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যমের এই ব্যাখ্যায় প্রশ্ন উঠেছে যে তা’হলে জিভাবে হানিয়ের চার শিশু পৌত্রের মৃত্যু হলো।
যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইজরায়েলেই বিক্ষোভ হচ্ছে। দায়ী করা হচ্ছে নেতানিয়াহু সরকারকে। এই হত্যাকাণ্ডে সংঘাতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা করছে ইজরায়েলের নাগরিকদের একাংশ। যে কারণে নেতানিয়াহু দায় অস্বীকার করতে চাইছেন বলে মত বিভিন্ন অংশের।
Comments :0