Teachers' Recruitment Scam

নিয়োগ দুর্নীতিতে আরেক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে

রাজ্য

Teachers recruitment scam


নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতিতে এরাজ্যে যা ঘটেছে তা গোটা দেশেই বেনজির বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। প্রাথমিক থেকে এসএসসি, গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া শুধু নয়, খালি খাতা জমা দিয়েও টেট পাশ করে গেছেন অযোগ্যরা, অকৃতকার্যরা পেয়ে গেছেন নিয়োগপত্র, আদালত কক্ষেই জমা পড়ছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, এসএসএসি’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান থেকে সচিব, নজরদারি কমিটির প্রাক্তন উপদেষ্টা থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি— নিয়োগ দুর্নীতি, টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগেই আপাতত জেলে। এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে  সিবিআই তদন্ত করবে নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক  তাপস সাহার বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করবে সিবিআই মঙ্গলবার দুপুরে এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ২২ জুলাই গভীর রাতে নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে। সেই শুরু, তারপর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত যত এগিয়েছে ততই সামনে এসেছে শাসক তৃণমূলের যোগ। গোটা দুর্নীতিতে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে শাসক তৃণমূল। এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযোগেই তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। 


গত বছর জুলাই মাসে চাকরি দেওয়ার নাম করে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন এই অভিযোগে তদন্তে নেমে প্রবীর কয়াল ও তার ২ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশ। যদিও তারা এখনো জেলে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক  তাপস সাহার নাম। ১৬ কোটি টাকা  বিধায়ক তাপস সাহাকে দিয়েছি জেরায় স্বীকার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল। তদন্তকারীদের সামনে প্রবীর কয়াল টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন তিনি বিধায়কের হাতে সেই টাকা তুলে দিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তবুও রাজ্য পুলিশের ব্যার্থতায় তাঁকে গ্রেপ্তার তো দূরের কথা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ননি সেই প্রশ্ন উঠে আসছে  ওয়কিবহাল মহলের। 


নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি। সেই কারণেই এই মামলায় রাজ্য পুলিশের তদন্তের বিরোধিতা করে আদালতে মামলা করে সিবিআই। আদালতে তারা দাবি করে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্ত যেহেতু সিবিআই করছে, তাই একই মামলা রাজ্য পুলিশ তদন্ত করতে পারে না। তারা তদন্তের ভার নিতে প্রস্তুত বলে আদালতে জানায় সিবিআই। যে দাবিকে সহমত পোষণ করে সিবিআই তদন্তের সম্মতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সিবিআইকে নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দয় আদালত। 
 

Comments :0

Login to leave a comment