এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেলর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করলো সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, উপযুক্ত প্রমান না পাওয়ায় তারা পটেলের বিরুদ্ধে সব রকম তদন্ত বন্ধ করছে।
২০১৭ সালে বিমান দুর্নীতি মামলায় প্রফুল্ল প্যাটেলর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। যতদিন তিনি বিজেপি বিরোধী শিবিরে ছিলেন ততদিন তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলেছে। দুর্নীতি নিয়ে প্রফুল্লকে বিভিন্ন সময় আক্রমণও করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এনসিপি ভেঙে অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেলরা যখন এনডিএ শিবিরে যোগ দিল তারপরই তার বিরুদ্ধে চলতে থাকা তদন্ত শিথিল হতে থাকে। আর এবার নির্বাচনের আগে তদন্ত বন্ধ করেদিল সিবিআই।
শুক্রবার সিবিইয়ের পক্ষ থেকে দিল্লির বিশেষ আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে মামলা বন্ধ করার জন্য। এখনও পর্যন্ত আদালতের পক্ষ থেকে এই বিষয় কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। প্রফুল্লর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে ইউপিএ সরকারের আমলে বিমান লিজ দেওয়া হয় কম টাকায়। যার ফলে অর্থীক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় এয়ার ইন্ডিয়াকে। সেই সময় প্রফুল্ল প্যাটেল ছিলেন ওই দপ্তরের মন্ত্রী।
উল্লেখ্য সিপিআই(এম) এর পক্ষ থেকে বার বার দাবি করে আসা হয়েছে যে কোন দোষ করে কেউ যদি বিজেপিতে যোগ দেয় তবে তার বিরুদ্ধে আর কোন তদন্ত হয় না। ঠিক এই ঘটনা ঘটেছে বার বার। অজিত পাওয়ার, একনাথ শিন্ডে এদের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। কিন্তু যখন তারা বিজেপির সাথে হাত মেলাচ্ছে তখন তাদের বিরুদ্ধে আর কোন তদন্ত হচ্ছে না। উল্টে তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারি। যাকে নারদায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। বিজেপি অফিস থেকেই তা দেখানো হয়েছে। সেই শুভেন্দু আজ বিজেপির মুখ। তার বিরুদ্ধে কোন তদন্ত হচ্ছে না। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রেও তৃণমূলের সাথে লাগাতার বোঝাপড়া করে চলছে বিজেপি। কয়েকজন মন্ত্রী, আমলা হয় তো গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। সারদার তদন্ত দশ বছর হয়ে গেলেও শেষ হয়নি। আসল দোষী যারা তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।
মানুষের টাকা যারা লুঠ করেছে তার শাস্তির দাবিতে একাধিকবার সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করেছে সিপিআই(এম)। বামপন্থীরা যখন দুর্নীতির বিচার চেয়ে পথে নেমেছে তখনই সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করেছে বিজেপি এবং তৃণমূল।
Comments :0