সোনার দোকানে ডাকাতি থেকে ব্যবসায়ীকে গুলির একাধিক ঘটনায় অভিযুক্ত সুবোধ সিং-কে হেপাজতে পেল বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। শনিবার আদালতের নির্দেশের পর থানায় এনে এই দুষ্কৃতীর জেরাও শুরু হয়েছে।
বারাকপুর অঞ্চলেই পাঁচটি গুরুতর অভিযোগে মামলা রয়েছে সুবোধ সিংয়ের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে পানিহাটিতে রাজা রোডের কাছে সোনার দোকানে ডাকাতির অভিযোগও রয়েছে। বেলঘড়িয়ায় ব্যবসায়ীর ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় আছড়ে পড়ে ক্ষোভ।
বরাহনগর ডানলপ মোড়ে মথুর ফাইন্যান্সে ডাকাতে টিটাগরে বিজেপি নেতা মনীষ শুক্লা হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে সুবোধ সিংয়ের। এরপরে বেলঘড়িয়া রথ তলা মোড়ে বিটি রোডের উপর জনবহুল জায়গায় ব্যবসায়ী অজয় মন্ডলের গাড়িকে লক্ষ্য করে আট রাউন্ড গুলি চলে। সেই ঘটনাতেও নাম রয়েছে সুবোধ সিংয়ের।
অভিযোগ, এর পরেও দৌরাত্ম্য থামেনি। বেলঘড়িয়া থানায় যখন ব্যবসায়ী অভিযোগ জানাতে এলে থানার মধ্যেই হুমকি আসে। পরের দিন বাড়িতেও একাধিকবার তোলা চেয়ে ফোন আসে বলে অভিযোগ জানান ওই ব্যবসায়ী অজয় মন্ডল।
আরেক ব্যবসায়ী বারাকপুরের তাপস ভগতকেও ফোনে হুমকি দেওয়া হয়। এরপর বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ আসানসোল থেকে সুবোধ সিংকে নিয়ে আসে বেলঘড়িয়ায়।
শনিবার বারাকপুর আদালতে তোলা হয় সুবোধকে। পুলিশ ১০ দিনের হেপাজত চায়। বারাকপুর মহকুমা আদালত ৭ দিনের হেপাজত দেয়।
পুলিশ বিরাট ব্যারিকেড করে সুবোধকে নিয়ে আসে বেলঘড়িয়া থানায়। বিকেল থানায় আসেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নগরপাল অলক রাজোরিয়া সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। দফায় দফায় জেরা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কেবল সুবোধ যদিও নয়, গত দেড় মাসে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে আড়িয়াদহ বা বেলঘড়িয়ায় বা সোনারপুরে একের পর এক হুমকি তোলাবাজি সালিশির ঘটনা সামনে এসেছে। স্থানীয় মাতব্বর, দুষ্কৃতীদের ঘিরে জনতার ক্ষোভের জেরে হেপাজতে নিতে হচ্ছে কাউকে কাউকে। তৃণমূলের মদতের প্রমাণও বেরিয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায়। ৩০ জুন বিহার থেকে এইদুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে আনে রাজ্যের সিআইডি।
SUBODH SINGH CRIMINAL
হেপাজতে পেয়ে বেলঘড়িয়ায় জেরা শুরু সুবোধকে
×
Comments :0