Farmers

উৎসব, তবু অন্ধকারে পাট চাষিরা

জেলা

Farmers



শারদ শুরু হয়ে গেলেও কৃষি প্রধান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কৃষকরা সম্পুর্নরুপে আনন্দে মেতে উঠতে পারছেনা। পাটের দাম পায়নি কৃষক। বন্যায় নষ্ট হয়েছে ফসল। পাট বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের নতুন জামা কাপড় কিনতে চাইলেও হতাশ কৃষক। অর্ধেকের চেয়েও কম দামেই হাটে ফড়িয়াদের নিকট বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। সরকার লাভ জনক সহায়ক মূল্যে পাট কেনার ব্যাবস্থা করেনি। সপ্তাহ কয়েক আগে অতি বৃষ্টিতে বিভিন্ন ব্লকের ধানের জমি ছিল জলের তলায়। ধানের ফুল আসার সময়ে বন্যা পরিস্থিতিতে ধানের বিপুল ক্ষতি হয়েছে জানাচ্ছেন কৃষকরাই। কুশমন্ডি, কুমারগঞ্জ, বংশীহারী, গঙ্গারামপুর ব্লক সহ অন্যান্য ব্লকের বহু ধানের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কৃষকরা আর্থিক দিক থেকে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত। আগামী শীতকালীন সবজির বীজ তোলাও একপ্রস্থ নষ্ট হয়েছে। কুশমন্ডির কৃষক রহিম আলী বলেন, ধানের ভীষণ ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত এখনো  কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। হিলির কৃষক পলাশ সরকার বলেন , পাটের দাম নেই। ন্যায্য মূল্যের অর্ধেক দামও পাচ্ছেন না তারা। অমৃত খন্ড পঞ্চায়েতের কৃষক কার্তিক মণ্ডল বলেন, রাসায়নিক সারের কালোবাজারিতে বাধ্য হয়ে প্রায় দুইগুন দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছি। তিনি বলেন, প্রশাসন সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে পারেনি। সারা ভারত কৃষক সভার জেলা সম্পাদক সকিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, জেলা জুড়ে কৃষকদের ক্ষতি হলেও সরকার ক্ষতিপূরণের ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, সংগঠনগত ভাবে ব্লকস্তর থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে দরবার করলেও সরকার কৃষকদের পাট সহ ফসলের ন্যায্য মূল্যে বিক্রির ব্যাবস্থা করতে পারেনি। তিনি বলেন সরকার ক্লাব গুলিকে উৎসব ভাতা দিলেও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের কোন ব্যাবস্থা করেনি। কৃষক তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ  না পেলে শারদ উৎসব পারে হলেই বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।
 

Comments :0

Login to leave a comment