CASH JUSTICE

বিচারপতির বাড়িতে নগদ মেলেনি কখনও বলা হয়নি: দিল্লির দমকল প্রধান

জাতীয়

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়ি থেকে নগদ উদ্ধারে সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর আরও তথ্য। দিল্লি দমকল বিভাগের প্রধান আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানিয়েছিল যে নগদ টাকা মেলেনি। শনিবার সেই খবর অস্বীকার করেছেন দমকল প্রধান অতুল গর্গ নিজেই।
এদিন, গর্গ বলেছেন, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশোবন্ত ভার্মার বাড়িতে আগুন নেভানোর সময় বস্তাবন্দি নগদ টাকা মেলেনি তা বলিনি। কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম এমন খবর দিয়েছে কেন জানা নেই। 
সামনে এসেছে যে যশোবন্ত ভার্মা একটি চিনিকল সংস্থার ‘নন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর’ ছিলেন। এই চিনিকলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে তদন্তেও নেমেছিল সিবিআই। এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু হলেও তা আটকে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। 
বিচারব্যবস্থাকে নিয়ে এই ঘটনায় উঠছে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন। ১৪ মার্চ দিল্লি হাইকোর্টের ওই বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বাড়িতে আগুন লেগেছিল। তিনি তখন বাড়িতে ছিলেন না। আগুন নেভাতে গিয়ে দমকল বস্তাবন্দি টাকার নোট পায়। তা থেকেই শুরু হয় শোরগোল। 
এনডিটিভি’র একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে ২০১৮-তে ওই চিনিকল সংস্থা ‘সিমভাওলি সুগার মিল’-র বিরুদ্ধে জালিয়াতির তদন্তে নেমেছিল সিবিআই। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ওবিসি’র অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। ওবিসি’র অভিযোগ, ৫ হাজার ৭৬২টি কৃষককে বীজ ও সার কেনার জন্য ২০১২ সালে ১৪৮.৫৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। ঋণের জামিনদার হয় ওই সিমভাওলি সুগার মিল। যার নন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ছিলেন বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা। দেখা যায় ভুয়ো পরিচয় দাখিল করেছে সংস্থা। ঋণগ্রাহকদের অনেককে খুঁজেই না পাওয়ায় লোপাট হয় ৯৭.৮৫ কোটি টাকা। 
২০২৩-এ ফের এই মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলে যে বিচারব্যবস্থার বিবেক নাড়িয়ে দিয়েছে ঘটনাক্রম। তদন্ত নতুন করে শুরু করার নির্দেশও দেয়। সিবিআই নতুন করে তদন্তে নামে ২০২৪’র গোড়ায়। কিন্তু সেই তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।

Comments :0

Login to leave a comment