বিধানসভায় পাশ হওয়া বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিলে সম্মতি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দবোস। শনিবার সকালে রাজভবনের পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে বিধায়কদের বেতন ৪০ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি হবে। তিনি বলার সময় বলেন, ‘‘অন্য রাজ্যের তুলনায় আমাদের রাজ্যের বিধায়ক, মন্ত্রীদের বেতন অনেকটাই কম। তাই আমাদের সরকার তাদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘বিধায়ক মন্ত্রীদের থাকা খাওয়ার জন্য অনেক টাকা বেরিয়ে যায়। এবার থেকে প্রতি মাসে তারা ১০ হাজার টাকার বদলে ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন। প্রতিমন্ত্রীরা ১০,৯০০ টাকার বদলে ৫০ হাজার পাবেন এবং পূর্নমন্ত্রীরা ১১ হাজার টাকার বদলে ৫১ হাজার টাকা করে পাবেন।’’
উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী নিজেই একাধিকবার দাবি করেছেন যে সরকারের কোষাগার খালি, কোন টাকা নেই। মিড-ডে-মিলের বরাদ্দ কমেছে। পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না শিশুরা। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রী বিধায়কদের ভাতা বৃদ্ধির ঘোষনা করলেন।
তবে এই প্রথম নয় এর আগেও বেড়েছে মন্ত্রী বিধায়কদের ভাতা। ২০১৯ সালে এক হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি করেছিল মমতা ব্যানার্জির সরকার। ২০১৭ সালে বিধায়ক, মন্ত্রীদের বেতন আইন সংশোধন করে নতুন বেতন কাঠামো তৈরি করে সরকার। সেখানে ৮৫০০ টাকা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বেতন বেড়ে হয় ২৭ হাজার টাকা। মন্ত্রীদের বেতন ৭৫০০ টাকা থেকে বেড়ে হয় ২২ হাজার টাকা। প্রতিমন্ত্রীদের বেতন ৭৩০০ টাকা থেকে বেড়ে হয় ২১,৯০০ টাকা। বিধায়কদের বেতন ৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয় ১৭,৫০০ টাকা। বিরোধী দলনেতার বেতন ১০,৫০০ হাজার থেকে বেড়ে হয় ২২ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য বেতন ছাড়াও বিধায়করা বিভিন্ন ভাতা পেয়ে থাকেন। রাজ্যের একজন বিধায়ক বেতন ভাতা মিলিয়ে মাসে পান ৮১ হাজার ৮৭০ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর নতুন ঘোষনার ফলে সেই টাকা প্রতিমাসে বেড়ে হবে ১লক্ষ ২১ হাজার ৮৭০ টাকা।
মুখ্যমন্ত্রী যখন এই ঘোষনা করেন সেদিন তখন বিধানসভার ভিতরে আন্দনে চিৎকার করতে থাকেন তৃণমূল বিধায়করা। বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য এর কোন বিরোধীতা করা হয়নি।
Comments :0