সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের প্যানেলে যারা যারা চাকরি পেয়েছিলেন তাদের সবার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রশিদের বেঞ্চ ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের কথায় তারা আট বছর ধরে বঞ্চিত। এর রায় তাদের আশা প্রত্যাশা পুরন করতে পারেনি। স্বরূপের কথায় , ‘‘২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। যোগ্যতার প্রমান দিয়েছি এখন আবার বলা হচ্ছে যোগ্যতা প্রমান করার।’’
আদালতের রায়ের পর যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘চাল আর কাঁকড় হাইকোর্ট আলাদা করতে পারেনি। তারা গোটা প্যানেল বাতিল করে দিল। তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য অনেক যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি গেলো। আমরা যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের পাশে আছি। তৃণমূলকে টাকা দিয়ে যারা সাময়িক ভাবে চাকরি নিয়েছিল তাদের বলছিল সেখানে যান। টাকা ফেরত চান, প্রয়োজনে বামপন্থীরা আপনাদের পাশে থাকবে। মানুষকে যারা লুঠ করেছে তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।’’
যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থীর নাম জড়িয়েছে টেটের দুর্নীতিতে। একবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করাও হয়েছে। পরের বার সমন পাঠানো হলেও যাননি। তার মানে কি সেটিং? কিসের ভিত্তিতে এই দুর্নীতি? এর জবাব আমরা চাই। যারা দোষ করেছে তারা বিজেপিতে গিয়ে পার পাবে না। জেলে যেতে হবে তাদের। লাল ঝান্ডা তাদের জেলে পাঠাবে।’’
Comments :0