টোটো চালক সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীর পাশে দাঁড়ালো ভারতের ছাত্র ফেডারেশন। শনিবার তার বাড়িতে গিয়ে ছাত্রীর পড়াশোনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেন ছাত্র নেতৃত্ব। ছিলেন এসএফআইয়ের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী, প্রবীর ভৌমিক, সবুজ মন্ডল, হালিম শেখ প্রমূখ। পেটের জন্যই এই সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে পড়াশোনার মাঝেই টোটো চালাতে বাধ্য হতে হচ্ছে। কৃষ্ণদেবপুর বালিকা বিদ্যালয়ে পাঠরত এই ছাত্রী রাত্রি মালিকের বাড়ি কালনা থানার নিভুজিবাজারে। সে যখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তো, তখন তার বাবা টোটো চালক মদন মালিক সেরিব্রাল স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তখন থেকে সংসার চালানোর জন্য রাত্রি মালিককে টোটোর হ্যান্ডেল ধরতে হয়।
কারণ তার বাবাই ছিল একমাত্র সংসারের রোজগারে সদস্য। বাধ্য হয়ে রাত্রি মালিককে নিয়মিত টোটো চালানোর পাশাপাশি অভাবের মধ্য দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এই খবর গণশক্তিতে প্রকাশিত হওয়ার পর এসএফআই’য়ের নজরে আসে। তারা কোনরকম কালবিলম্ব না করে ছাত্রীর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক শনিবার রাত্রি মালিকের বাড়িতে এসে ছাত্র নেতারা তার আজীবন পড়াশোনার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
Comments :0