সান্দাকফুতে বেড়াতে গিয়ে কলকাতার এক পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত পর্যটকের নাম আশীষ ভট্টাচার্য (৫৮)। তিনি কলকাতার ভবানিপুর এলাকার বাসিন্দা। সান্দাকফুতে ঘুরতে গিয়ে মঙ্গলবার রাতে ওই পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সান্দাকফুর অনেক উচ্চতার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণেই ওই পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পর্যটকের মৃত্যুর পর পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষানিরীক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বেশ কিছু নিয়ম লাগু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 
পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে, চলতি বছরের ১৮ নভেম্বর আত্মীয় পরিজনদের সাথে পাহাড়ে গিয়েছিলেন কলকাতার পর্যটক আশীষ ভট্টাচার্য। পরেরদিন অর্থাৎ ১৯ নভেম্বর সান্দাকফু যান। সান্দাকফু যাবার আগে দার্জিলিঙ থেকে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার দূরত্বের ধোত্রে নামক জায়গায় তারা রাত্রিবাস করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেখানে ওই পর্যটকের ব্যাপক শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা শুরু হয়ে যায়। শ্বাসকষ্ট তীব্রতর হলে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় সুখিয়াপোখরি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই পর্যটককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ দার্জিলিঙ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পরে বুধবার পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা দেহ নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে। কলকাতার পর্যটকের দেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার সমস্ত ব্যবস্থা প্রশাসনের তরফে করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। 
ঘটনা প্রসঙ্গে দার্জিলিঙ সদরের মহকুমা শাসক রিচার্ড লেপচা জানান, ‘‘ সান্দাকফু বেড়াতে এসে পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের তরফে জিটিএ’র সাথে আলোচনা হয়েছে। পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে।’’
প্রসঙ্গত পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে বিভিন্ন সময় পর্যটকদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের মে মাসের ২৬ তারিখে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে উত্তরদিনাজপুরের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়। এর আগে গত ২০২২সালের অক্টোবর মাসে মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফুতে ট্রেকিং করতে গিয়ে রাতে টেন্টে ঘুমন্ত অবস্থায় ইজরায়েলের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়।