লোকসভা নির্বাচনে অন্য কাউকে একটাও ভোটও দেবেন না। বৃহস্পতিবার রেড রোডে ঈদের নমাজের মঞ্চ থেকে এমনই মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জিও।
বৃহস্পতিবার নমাজের মঞ্চ থেকে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক বক্তৃতাই দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কেন্দ্রকে সিএএ নিয়ে আক্রমণ করেছেন। যেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা কেবল মুসলিমদের। এমন প্রচারে অবশ্যই লাভ বিজেপি’র, ফয়দা ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির।
এদিন মমতা বলেছেন, ‘‘ভোটের পর আমরা ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ব্যাপার বুঝে নেব। বরাবরই আপানারা আমাদের পাশে ছিলেন। আপনারা যদি সিএএ, এনআরসি না চান তাহলে একটা ভোটও যেন অন্য কোথাও না যায়। একটা ভোটও অন্য কোনও দলকে দেবেন না।’’
নির্বাচনী জনসভার ভঙ্গিতেই সিএএ’র ভয় দেখিয়ে রেড রোডে প্রচার সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’ নিয়ে মাথাব্যথা পরিষ্কার ধরা পড়ছে বিজেপি নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে। একই উদ্বেগ ধরা পড়েছে মমতার গলাতেও। ‘ইন্ডিয়া’-র সাম্প্রতিক কর্মসূচিতে বড় কোনও নেতাকে পাঠাচ্ছে না তৃণমূল।
রেড রোডের নমাজে মমতা বলেছেন, ‘‘যদি কেউ দাঙ্গা করতে আসে, আপনারা চুপ থাকুন, মাথা ঠান্ডা রাখুন। যদি চকলেট বোমাও ফাটে ওরা তাহলে সবাইকে গ্রেপ্তার করেতে এনআইএ পাঠিয়ে দেয়।’’
২০০৩ সালেই নাগরিকত্ব আইনের বিধি বদলানো হয়েছিল। জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জির মতো ধারণাকে জমি দেওয়া হয় সে সময়ে। কেন্দ্রের অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রীসভায় সে সময়ে মন্ত্রী ছিলেন মমতা ব্যানার্জি। তৃণমূল ছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ’র সঙ্গী। বস্তুত রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের বিপক্ষে মমতা ব্যানার্জির প্রচারের অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল অনুপ্রবেশ। যে বিষয়ে জোর দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে আরএএস-বিজেপি।
Mamata Banerjee
ঈদের নমাজের মঞ্চে ভোট প্রচার মুখ্যমন্ত্রীর
×
Comments :0