তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের দুর্নীতি কারণে আজ প্রায় ২৬ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি চলে যেতে বসেছে। টাকার বিনিময় তার দলের লোকেরা চাকরি বিক্রি করলো আর তার ফল ভুগতে হচ্ছে সবাইকে সেই বিষয় কোন কথা বললেন না মমতা। শুধু বললেন সরকার পাশে আছে।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মমতা ব্যানার্জি এবং তার দলের লোকেদের লোভ ও লুঠের ফলে এই বিপুল চাকরি খারিজ হলো। যাদের চাকরি গেলো তাদের মধ্যে একটা অংশ স্বচ্ছতার সাথে চাকরি পেয়েছিল। তারা এখন কি করবে? তাদের তো বয়স বেড়ে গিয়েছে। যারা তৃণমূলকে টাকা দিয়ে কাজ পেয়েছিল তারা এখন কি করবে? এর দায় কিন্তু মমতা ব্যানার্জির। মনে রাখতে হবে ২০১৬ সালে মমতা শুভেন্দু একসাথে। শুভেন্দু মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য। এখন সে বিজেপিতে। ফলে মমতা এবং শুভেন্দুর লুঠ বাংলার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিপর্যস্ত করছে।’’
অন্যদিকে এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেজ্ঞ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন তারা। সিদ্ধার্থের কথায়, পাঁচ হাজার জনের বিরুদ্ধে অনৈতিক ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ছিল। সেখানে প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি কেন বাতিল করা হলো?
শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রশিদের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছেন সোমবার। যাদের চাকরি বাতিল করা হলো তাদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী একমাসের মধ্যে সেই টাকা তাদের ১১ শতাংশ সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Comments :0