‘দীক্ষা’ দেওয়ার নাম করে এক মহিলাকে নিজের বাড়িতে ধর্ষন করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এলাকাসূত্রে জানা গেছে, এই ব্যক্তি নিজেকে ‘গুরুদেব’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে বহুজনকেই দীক্ষা দিয়েছেন। তেমনভাবেই ওই মহিলাও তার এই ‘গুরুদেবে’র কাছে দীক্ষা নিতে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে দীক্ষা দানের স্থলটি কোনও আশ্রম নয়। অভিযুক্তের নিজের বাড়ি বলেই উঠে এসেছে পুলিশ সূত্রে। 
ঘটনা গত বুধবার সন্ধ্যার। বীরভূমের দুবরাজপুর থানার যশপুর পঞ্চায়েতের একটি গ্রামেই নিজের বাড়িতে ‘দীক্ষা’দানের আহ্বান জানানো হয়েছিল অভিযুক্তের পক্ষ থেকে। অভিযুক্তের নাম উজ্জ্বল দাস। ঘটনার সময় নিগৃহিতা মহিলা তাঁর স্বামীকে নিয়ে দীক্ষা নিতে যান। জানা গেছে, প্রথমে স্বামীকে দীক্ষা দেওয়ার পর তাঁকে বাইরে অপেক্ষা করতে বলেন অভিযুক্ত। এরপরই মহিলাকে দীক্ষাদানের সময় নানাভাবে ভুল বুঝিয়ে শারিরীক সন্মানহানি করেন অভিযুক্ত বলেই অভিযোগ। এদিকে বাড়ি ফিরে এসে মহিলা তার স্বামীকে সবটা খুলে বলেন। এরপরই মহিলা ও তাঁর স্বামী বৃহস্পতিবার দুপুরে এসে দুবরাজপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ। 
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাকে পাওয়া যায় নি। এরপর বিভিন্ন সূত্রে খবরাখবর লাগিয়ে একঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’ অপরদিকে ধৃত উজ্জ্বল দাসকে এদিন আদালতে তোলা হয়। আদালতের সরকারি আইনজীবি রাজেন্দ্র প্রসাদ দে জানিয়েছেন, ‘‘দীক্ষা দানের নাম করে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগের ভীত্তিতে ধৃতের পাঁচদিনের পুলিশ হেপাজত চাওয়া হয়েছিল পুলিশের তরফে। বিচারক চারদিনের হেপাজত মঞ্জুর করেছেন।’’ নিগৃহিতা মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। সেই মহিলার জবানবন্দী নেবে আদালত বলে জানা গেছে।