Elephants

হাতির আতঙ্ক মেদিনীপুরে, মশাল হাতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন গ্রামের মানুষ

জেলা

চিন্ময় কর- মেদিনীপুর


মাঠের ফসল, না ঘরবাড়ি, গোবাদীপশু না নিজেদের প্রাণ বাঁচাবেন আতঙ্কে একাধিক গ্রামের মানুষ। দুদিনে প্রায় তিনশ  বিঘার বেশি ধানের জমির ফসল সাবাড় করেছে হাতির দল। ১৪০টির বেশি হাতির পাল তিন চারটি দলে ভাগ হয়ে মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া, মনিদহ, এনায়েতপুর, ধেড়ুয়া, গুড়গুড়িপাল, কংকাবতী, পলাশিয়া একের পর এক মৌজায় তান্ডব চালাচ্ছে। ভেঙে ফেলছে ঘর, বাড়ি, গাছপালা। হাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বহু পরিবার। হাতির তান্ডব থেকে বাঁচতে গ্রামবাসীদের পাশে দাড়ায়নি প্রশাসন। এক প্রকার নির্বিকার প্রসাশন। সাড়া পাওয়া যায়নি বনদপ্তরে ফোন করেও অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তালাচাবি ঝুলছে বীট অফিসে। বাধ্য হয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ধানী জমি রক্ষা করতে গ্রামবাসীরা দলবেঁধে হাতি তাড়াতে নেমে পড়েছেন। ঘরবাড়ি রক্ষা করতে, গোবাদীপশু ও নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে চাঁদা তুলে মশাল জ্বালিয়ে একের পর এক গ্রাম রাত জাগছে। 

{ad}


আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, ‘একের পর এক জঙ্গল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে খাদ্য সঙ্কটে হাতিরপাল। প্রায় দেখা যায় জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে বেড়িয়ে আসে হাতি। গত মে মাসেও সবজি, বোরো পাকা ধানের জমিতে এই ভাবে তান্ডব চালিয়েছিল হাতির পাল। ৩৭টি পরিবারের মাটির ও বাঁশের বেড়ার ঘর ভেঙে ধান চাল লুঠ করে। গত তিন মাসে হাতির আক্রমণে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত পরিবার গুলির সবাই এখনো ক্ষতিপুরণ পায়নি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলি এখন ত্রিপল টাঙিয়ে রয়েছেন। 
ভুক্তভোগী নব কুমার মাহাত, জিতেন মান্ডি, সুবল বেরা সহ অনেকেই জানিয়েছেন, ভাঙা ঘরের ক্ষতিপুরণ এতই নগন্য তা দিয়ে কিছুই হয়না। সেই কবেকার নিয়ম। তাতে সাত্বনা দেওয়া হয়। 
জমির ফসল ও বাড়িঘর বাঁচাতে রাতে মশাল হাতে রাতপাহারা দেবেন গ্রামবাসীরা। হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা হাতির হামলায় নিজেদের জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় বন দপ্তর ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

{ad}

Comments :0

Login to leave a comment