মিজোরামে ঝড় তুলে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছে জোরাম পিপল্স মুভমেন্ট বা জেডপিএম। নবাগত এই দল জিতেছে ২৭ আসনে। ৪০ আসনের বিধানসভায়, সদ্য ক্ষমতা হারানো মিজো ন্যশনাল ফ্রন্টকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে মাত্র ১০টি আসন নিয়ে।
এই জয়ের প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে একটি পোস্ট করেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি লিখেছেন, ‘‘মিজো ন্যশনাল ফ্রন্টকে উড়িয়ে দিয়ে মিজোরামে ক্ষমতায় এসেছে জোরাম পিপল্স ফ্রন্ট। নিজের কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরপূর্ব ভারতের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্য, এবং মণিপুরের প্রতিবেশি রাজ্য হওয়ার পরেও মিজোরামের এই ফলাফলের তাৎপর্য নিয়ে ভারতীয় খুব বিশেষ ভাবিত নয়।’’
ইয়েচুরির ভাষায়, ‘‘এই ঘটনা প্রমাণ করে, ভারতীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যত খুব একটা সুখকর নয়।’’
মিজোরামে ৪ নভেম্বর নির্বাচন হয়। গোটা নির্বাচনী প্রচার পর্বে মিজোরামে যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথম তিনি কোনও ভোটমুখী রাজ্যে প্রচারে যাননি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মণিপুরে অশান্তি ছড়ানোর পরে মোদী একবারের জন্যও মণিপুরে যাননি। যদিও সেখানে বিজেপি সরকার ক্ষমতায়। মণিপুরের ছোঁয়া এড়াতেই, প্রতিবেশি মিজোরামেও যাননি মোদী।
মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট এনডিএ’র শরিক। যদিও নির্বাচনী প্রচারের শেষলগ্নে এসে দলের অন্যতম শীর্ষনেতা তথা মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা ঘোষণা করেন, তাঁরা এনডিএ ছাড়তে চলেছেন।
৯০ শতাংশের কাছে খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ রয়েছেন মিজোরামে। নির্বাচনের ফলেই স্পষ্ট, বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরির কথা ঘোষণা করার ক্ষেত্রে বড্ড দেরি করে ফেলেছিলেন জোরামথাঙ্গা।
এই নির্বাচনে জেডপিএম ৩৭.৮৬ শতাংশ ভোট এবং ২৭টি আসন পেয়েছে। মিজো ন্যশনাল ফ্রন্ট ১০টি আসন এবং ৩৫.১০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় জেডপিএমের ১৪.৯৬ শতাংশ ভোট বেড়েছে। এমএনএফ’র ভোট কমেছে ২.৬ শতাংশ।
২০১৮’র নির্বাচনে জেডপিএম পেয়েছিল ৮টি আসন, এবং মিজো ন্যশনাল ফ্রন্ট পেয়েছিল ২৬টি আসন।
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২টি আসনে জিতেছে। পেয়েছে ৫.০৬ শতাংশ ভোট। গতবারের তুলনায় ১টি আসন বাড়লেও, বিজেপির ভোট কমেছে ৩.০৩ শতাংশ।
মিজোরাম বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জিতেছে ১টি মাত্র আসনে। যদিও তাঁরা ভোট পেয়েছে ২০.৮২ শতাংশ। গতবার তুলনায় ৪টি আসন এবং ৯.১৬ শতাংশ ভোট কমেছে কংগ্রেসের।
Comments :0